কেন্দ্রের বঞ্চনা ও রাজ্যের উন্নয়মূলক কর্মসূচির ফলে উত্তরবঙ্গে জমি হারাচ্ছে বিজেপি
১০০ দিনের কাজে বাংলাকে ধারাবাহিক বঞ্চনা করে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে ধারাবাহিক বঞ্চনা করে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। ভোট মিটতেই চা বাগান সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি ভুলেছে বিজেপি। সেই জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে চলছে চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্যের প্রকল্প ‘চা সুন্দরী’। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাম আমলের ৬৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৬১ কোটি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সশরীরে বারবার ছুটে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। উল্টোদিকে বিজেপি ধরে রয়েছে বাংলা ভাগের জিগির। উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য ও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে তুলনামূলক এই চর্চাই বলে দিচ্ছে, মানুষ কী চাইছে!
ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কী হতে পারে, জানতে চাইলেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে এসব কথাই বলছেন মালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার—উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশের সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না। রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখে ভাতে মারার চেষ্টা করেছে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে ২৭টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। পরবর্তীকালে আলিপুরদুয়ারের সুমন কাঞ্জিলাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। অনেকেই বলছেন, এই মুহূর্তে ভোট হলে উত্তরবঙ্গেও বিজেপি গোহারা হারবে। ১৫টি আসন জুটবে কি না, যথেষ্ট সংশয় আছে। এর একমাত্র কারণ রাজ্যের প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা। আবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষদের সঙ্গে কথা বললে একটা কথা আপনি শুনতে পাবেন, আমরা গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে আবাসের টাকার জন্য অপেক্ষা করেছি। মোদীতো মিটিং করে চলে গেলেন। কিছুই দিলেন না। দিদি আমাদের বাড়ি তৈরির টাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘আমরা তো অনেকদিন ধরেই বলে আসছি, বিজেপি যে তাদের বোকা বানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের মানুষ তা বুঝে গিয়েছে। এখন মানুষ সেই কথা মুখ ফুটে বলছেনও। এর প্রতিফলন অবশ্যই পাওয়া যাবে ২০২৬-এর ভোটে।’