লায়ন ডান্সে মাতল জলপাইগুড়ি
রাস্তার মাঝে বিশাল ক্যানভাসে চলল ছবি আঁকা। ছোটরা বুঁদ ম্যাজিক শো’য়ে। মহিলারা শামিল হলেন জুম্বায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবার জলপাইগুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জলপাইগুড়ি উৎসবের অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার শহরজুড়ে ছিল শুধুই রঙিন আলো আর রঙের ছটা। তবে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল লায়ন ডান্স।
কার্যত হ্যাপি স্ট্রিটে মাতল জলপাইগুড়ি। কচিকাঁচাদের সঙ্গে নাচলেন খোদ জেলাশাসক শমা পারভীন। মন কাড়ল লায়ন ডান্স থেকে হারিয়ে যেতে বসা পুতুল নাচ। রাজপথে উঠে এল এক টুকরো কুমোরপাড়া। রাস্তার মাঝে বিশাল ক্যানভাসে চলল ছবি আঁকা। ছোটরা বুঁদ ম্যাজিক শো’য়ে। মহিলারা শামিল হলেন জুম্বায়।
জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড় থেকে জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তা আলপনায় সাজানো হয়। ছিল শীতের বাহারি ফুলের গাছ। সন্ধ্যা হতেই জ্বলে ওঠে রঙিন আলো। কী ছিল না হ্যাপি স্ট্রিটে? ছোটরা যেমন হারিয়ে গিয়েছে তাদের খেলার আসরে। মহিলারা ভিড় জমান জুম্বায়। উপভোগ করেন শালুগাড়া থেকে সোনম লুন্ডুপ লামার নেতৃত্বে লায়ন ডান্স। কলকাতার গিরিশপার্ক থেকে পুতুলনাচ নিয়ে এসেছিলেন সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। শহরের চিত্রশিল্পীদের কেউ ছবি এঁকেছেন। কেউ আবার রঙিন কাগজের টুকরো জুড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যানভাস। হ্যাপি স্ট্রিটে ‘কুমোরপাড়া’য় মাটির জিনিসপত্র তৈরি দেখতে ভিড় জমে। রাস্তার উপরেই তৈরি করা হয়েছিল একাধিক মঞ্চ। সেখানে জমে ওঠে নাচ-গানের আসর। কেউ কেউ যোগ-ব্যায়াম প্রদর্শন করেন। ছিল নানা ধরনের খেলা। জিতলে পারলেই আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
বিদেশি সারমেয়দের সঙ্গে টক্কর দিয়ে সবুজ গালিচা বিছানো হ্যাপি স্ট্রিটের র্যােম্পে হাঁটে দেশি চারপেয়েরা। পাশে দাঁড়িয়ে সমানে উৎসাহ জুগিয়েছেন ছানাদের ‘অভিভাবক’রা। পথকুকুরদের ‘দত্তক’ নেওয়ার ব্যাপারেও প্রচার চালানো হয় ওই ডগ শো থেকে। তারিয়ে তারিয়ে প্রতিটি ইভেন্ট উপভোগের সঙ্গেই ভিড় উপচে পড়ে খাবারের স্টলগুলিতে। ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছর উপলক্ষ্যে স্টল দেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। জেলাশাসক বলেন, হ্যাপি স্ট্রিটে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। গোটা শহরের মানুষ এখানে এসেছেন। আনন্দ করেছেন।