একদিকে শুভেন্দু ও সুকান্তর মধ্যে দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে সক্রিয় সদস্যপদের লক্ষ্যপূরণ হয়নি, বঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এইমুহূর্তে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। ফেব্রুয়ারিতেই নয়া রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে দিল্লি। ঠিক তার আগে বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছে। শুভেন্দু ও সুকান্তর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে নানা রাজনৈতিক জল্পনা সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সল্টলেকের এক হোটেলে বিশেষ সাংগঠনিক কর্মশালার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুকে নিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন, ‘কমফোর্ট ফিল’ করেন না বলে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দু আসেন না। যদিও এনিয়ে শুভেন্দু পাল্টা বলেছিলেন, সুকান্ত কেন এই মন্তব্য করেছেন তা তিনি নিজেই বলতে পারবেন। এরপর বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপিতে রাজনৈতিক যোগ্যতার নিরিখে শুভেন্দুকে বেশি পয়েন্ট দেন।
আর সুকান্তকে রাজনীতির ‘নবজাতক’ বলেন। আর তার জবাবে বলতে গিয়েও সুকান্ত শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বালুরঘাটে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ ও বিপ্লব মিত্রকে হারিয়েছেন তিনি, একথা বলতে গিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুভেন্দুবাবুর মতো ট্রেনিং নেওয়া বিপ্লব মিত্রকেও হারিয়েছেন। আর এখানেই শুভেন্দু শিবিরের প্রশ্ন, শুধু বিপ্লব মিত্রর নামই বলতে পারতেন সুকান্ত মজুমদার। কেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম টানলেন।
অন্যদিকে প্রাথমিক সদস্যপদের দৌড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ‘মান’ বেঁচেছে। বিজেপি সূত্রের দাবি তেমনই। কিন্তু সক্রিয় সদস্যপদ অভিযানে ‘লক্ষ্য’ এখনও দূরে। ‘লক্ষ্য’ ছিল ৭০ হাজার সক্রিয় সদস্য। মাপকাঠি ছিল, দলের যে কর্মীরা ৫০ জন করে প্রাথমিক সদস্য জোগাড় করতে পারবেন, তাঁরাই পাবেন ‘সক্রিয়’ সদস্যপদ। কিন্তু বিজেপি সূত্রের খবর, সে মাপকাঠি স্পর্শ করতে পারেননি অনেকেই। তবে যথেষ্ট সংখ্যক বুথে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গড়তে হলে সক্রিয় সদস্যসংখ্যার সঙ্গে আপস করা কঠিন। তাই মাপকাঠির নীচে থেকে যাওয়া কর্মীদের জন্য নিয়ম ‘শিথিল’ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নতুন করে ‘নম্বর’ বড়ানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে হাজার ত্রিশেক কর্মীকে।