স্বরভঙ্গের সমস্যায় ভুগছেন, কী কী করবেন, কী করবেন না?

ভয়েস বক্স বা স্বরযন্ত্রে কোনও ধরনের সমস্যা হলে তখন আওয়াজ হয়ে যায় ফ্যাসফেসে! যেন গলা থেকে আওয়াজ বের হতে চায় না। যা স্বরের পরিবর্তন।

February 12, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্বর পরিবর্তন আর আওয়াজ বদল দুটোই আলাদা বিষয়। স্বর বা ভয়েস বের হয় স্বরযন্ত্র থেকে, অঙ্গটিকে বলা হয় ল্যারিংস। কিছু সমস্যা হলে, তবে স্বরের পরিবর্তন হয়। আওয়াজ বা স্পিচের পরিবর্তন হলে মুখগহ্বরের নানা অংশে সমস্যার উদ্রেকের কারণে। ভয়েস বক্স বা স্বরযন্ত্রে কোনও ধরনের সমস্যা হলে তখন আওয়াজ হয়ে যায় ফ্যাসফেসে! যেন গলা থেকে আওয়াজ বের হতে চায় না। যা স্বরের পরিবর্তন।

স্বরের পরিবর্তনের লক্ষণ:

  • ফ্যাসফেসে স্বর।
  • স্বরের পরিবর্তন একদিন স্থায়ী হতে পারে। আবার হতে পারে বেশ কয়েক সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী। কয়েকমাস ব্যাপীও স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • এমনও হতে পারে, স্বরের যে পরিবর্তন তা কিছুদিনের জন্য সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যাচ্ছে, আবার কয়েকদিন পরিবর্তনজনিত জটিলতা খুব বেড়ে যাচ্ছে।
  • আবার কারও কারও ক্ষেত্রে স্বরের পরিবর্তন কোনওভাবে সারতে দেখা যায় না।
  • কোনও কোনও রোগীর গলায় ব্যথা থাকতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে জ্বর, সর্দি, কাশি।
  • শ্বাসের কষ্ট থাকতে পারে।
  • জোরে কথা বললে স্বরভঙ্গের মতো জটিলতা বাড়ে। বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশনের মতো জমায়েতে খুব জোরে জোরে হাঁকডাক করার পরে স্বরভঙ্গ হতে দেখা যায়। রাজনৈতিক সমাবেশে নেতারা খুব জোরে কথা বলার পরেও এভাবে গলা ভেঙে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভয়েস বক্সের উপর একটা চাপ পড়ে, প্রদাহ হয়।
  • অনেকের আবার পেশা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে স্বরভঙ্গ হতে পারে। গায়ক-গায়িকা, শিক্ষাকতার পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় কথা বলতে হয় বা গলার ব্যবহার করতে হয়।
  • খুব জোরে দিয়ে চাপ দিয়ে এভাবে কথা বলার কারণে স্বরযন্ত্রের উপরে প্রভাব পড়ে। সেই জায়গাতেও হতে পারে ভয়েস চেঞ্জ-এর মতো জটিলতা।
  • গলায় সংক্রমণের প্রভাবও পড়তে পারে ভয়েস বক্সে।
  • এছাড়া ভোক্যাল কর্ড প্যারালাইসিস হতে পারে। ভোক্যাল কর্ডকে চালনা করে রেকারেন্ট ল্যারিঞ্জিয়াল নার্ভ। এই স্নায়ুর কোনও জায়গাতে সমস্যা হলে সে ভোক্যাল কর্ডটাকে নাড়াতে পারে না ও প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
  • স্বরযন্ত্রে কোনও ধরনের টিউমার হয়, সেখান থেকেও হতে পারে এমন স্বরের সমস্যা।
  • একবার রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে তারপর মূল কারণের চিকিৎসা করা হয়।
  • ইএনটি চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতে পারে। ক্লিনিক্যাল একজামিনেশন জরুরি।
  • ফাইবার অপটিক ল্যারিঙ্গোস্কোপি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় সরু ক্যামেরা পৌঁছে দেওয়া হয় স্বরযন্ত্রের কাছে। স্ক্রিনে গলার অন্দরের ছবি ফুটে ওঠে। স্ক্রিনে যে ছবি ফুটে ওঠে তাতেই বোঝা যায় যে ওখানে কোনও সংক্রমণ হয়েছে বা টিউমারের মতো কিছু আছে কি না।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে করানো হয় ভিডিও ট্রোবোস্কোপি।
  • বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে টিউমার থেকে মাংসের টুকরো নিয়ে প্যাথোলজক্যাল একজামিনেশনের জন্য। তাতেই জানা যায় টিউমারটির ধরন কী।
  • স্বরের যখন কোনও পরিবর্তন হয়, কখনও গার্গেল করবেন না। গার্গেল করলে স্বরযন্ত্রের উপর প্রচণ্ড পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। তখন পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। উন্নতি কিছু হয় না। স্বরের পরিবর্তন হলে বা স্বরভঙ্গ হলে যতখানি পারা যায়, গলাকে বিশ্রাম দেবেন।
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen