চিকিত্সার জন্য আমেরিকায় পাড়ি সোনিয়া গান্ধীর, সঙ্গী রাহুল
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই চিকিত্সার জন্য আবার আমেরিকায় পাড়ি দিতে হল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। শনিবারই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে গিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। সূত্রের খবর, বার্ষিক মেডিক্যাল চেকআপ করাতেই সোনিয়াকে বিদেশ যেতে হয়েছে।
এই ১৪ সেপ্টেম্বর, সোমবার, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। ফলে, আসন্ন অধিবেশনে ৭৩ বছর বয়সি সোনিয়ার যোগ দিতে না-পারার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, আশাকরা যায়, পাঁচ দিন মায়ের সঙ্গে বিদেশে কাটিয়ে ফিরে আসবেন রাহুল গান্ধী। দেশে ফিরে বাদল অধিবেশনে যোগ দেবেন। রাহুল ফিরে এলেও বাকি সময়টায় কংগ্রেস সভানেত্রীর পাশে থাকবেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
কংগ্রেসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কমপক্ষে দু-সপ্তাহ সোনিয়া গান্ধীকে বিদেশে থাকতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরেই অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী। ২০১১ সালে কংগ্রেস সভানেত্রীকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটেরিং ক্যানসার সেন্টারে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এর পর থেকেই তাঁকে নিয়মিত চেকআপ করাতে বিদেশে যেতে হয়। তবে, কংগ্রেস সভানেত্রীর অসুস্থতার কারণ আজও জানা যায়নি।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা শনিবার ট্যুইট করে সোনিয়া গান্ধীর বিদেশ যাত্রার খবর দিয়েছেন। রণদীপ জানান, আরও আগেই বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস সভানেত্রীর। কিন্তু, করোনাভাইরাসের কারণে তাঁকে সময় পিছতে হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরবেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তাঁর অনুপস্থিতিতে যাতে সাংগঠনিক কাজকর্মে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য শুক্রবারই এআইসিসির সাংগঠনিক কিছু রদবদল তিনি করেছেন।
শুক্রবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (CWC) ঢেলে সাজিয়েছেন সভানেত্রী। দলের প্রতিদিনের কাজকর্মে তাঁকে সহায়তা করার জন্য ছয় সদস্যের একটি প্যানেল তিনি তৈরি করেন। বর্ষীয়ান নেতা একে অ্যান্টনি, অহমেদ পটেল, মুকুল ওয়াসনিক, অম্বিকা সোনি, কেসি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ওই কমিটির সদস্য।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। করোনার কারণে প্রত্যেক সাংসদকে তার আগে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। লোকসভার স্পিকার জানান, কমপক্ষে তিন দিন আগে প্রত্যেককে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। ওই রিপোর্ট ছাড়া কোনও সংসদ সদস্যই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে সাংসদদের পরিবারের সদস্যদেরও। করোনা সংক্রমণের কারণে এ বারই প্রথম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের অ্যাটেনডেন্স মার্ক করবেন সাংসদরা। সংসদের মধ্যেই কেবল অ্যাপটি কাজ করবে।