AI ব্যবহারে প্রাচীন পুঁথি ও পাণ্ডুলিপি গবেষণায় খুলতে চলেছে নব দিগন্ত

ইতিমধ্যে IIT বম্বের অধীন একটি সংস্থার সঙ্গে মউও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে প্রাচীন ভাষা ও সাহিত্য চর্চার পথ আরও সুগম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

February 11, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আধুনিক বুদ্ধির সঙ্গে প্রাচীন বিদ্যার মিশেল ঘটাচ্ছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (BRC)। সংস্কৃত, বাংলা সহ নানা ভাষার প্রাচীন পুঁথি ও পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণায় AI ব্যবহার করবে তারা। ইতিমধ্যে IIT বম্বের অধীন একটি সংস্থার সঙ্গে মউও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে প্রাচীন ভাষা ও সাহিত্য চর্চার পথ আরও সুগম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন IIT বম্বের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ার প্রফেসর গণেশ রামকৃষ্ণণ, TIH-র সিইও কিরণ শেষ, ভারত জেনের সিইও ঋষি বল, ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন রুদ্র এবং বলরাম লীলা দাসরা । কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া এগোবে সেই ব্যাখ্যাও দেন তাঁরা।

IIT বম্বের অধীন একটি সেন্টার হল TIH। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টারডিসিপ্লিনিয়ারি সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম প্রকল্পের অধীনে এই প্রকল্প তৈরি হয়। এই সংস্থা ইন্টারনেট অফ থিংস নিয়ে কাজ করে। তাদেরই তৈরি একটি মাল্টিমোডাল লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল হল ভারতজেন। প্রথমে স্ক্যানার দিয়ে পুরনো পুঁথি ও পাণ্ডুলিপিকে ডিজিটাইজ করার চেয়ে উন্নত করা হয়। অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রেকগনিশন (OCR) প্রযুক্তিতে পুরনো পাণ্ডুলিপি/পুঁথি থেকে লেখাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে নেবে যন্ত্রই। যে কোনও ভাষার হাতে লিখিত অক্ষরও আলাদাভাবে চিনতে সক্ষম এই প্রযুক্তি। নির্দেশিত ভাষায় অনুবাদও করে দেবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তৈরি করে দেবে এই বিশেষ প্রযুক্তি। এর ফলে শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, গবেষকদের গবেষণার কাজ আরও সহজ হবে। প্রাচীন ভাষা, পুঁথি, পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ এবং গবেষণা বিষয়ে একটি স্নাতকোত্তর কোর্সও চালায় এই রিসার্চ সেন্টার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen