উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমে যত মত, তত জট! গঠন করতে পারল না নতুন জেলা কমিটি

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ, তন্ময় ভট্টাচার্যকে কৌশলে বাদ দেওয়া।

February 11, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের জেলা সম্পাদক কে হবেন? তাই নিয়েও চলছে জোর চর্চা। শেষে হয়েছে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন। কিন্তু পলিট ব্যুরো সদস্য থেকে শুরু করে তাবড় সিপিএম নেতারা শত চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি এড়াতে পারলেন না। নবগঠিত জেলা কমিটি এবং জেলা সম্পাদক কে হচ্ছেন, তা জানার জন্য তাই ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি, রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর তা হবে সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমেই। ২৬ তম জেলা সম্মেলন নিয়ে তাই যথেষ্ট আশাহত প্রতিনিধি থেকে পাটি সদস্য, কর্মী ও সমর্থকরা।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ, তন্ময় ভট্টাচার্যকে কৌশলে বাদ দেওয়া। অন্যটি হল, সম্মেলন কক্ষে সম্পাদকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও ফের মৃণাল চক্রবর্তীকেই সম্পাদক করতেই প্রবীণদের চেষ্টা। নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে এনিয়ে অসন্তোষ আরও বাড়ছে। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সব থেকে বড় জেলার সম্মেলন সিপিএমকে পুরোটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বর্তমান জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীকে সরানোর ব্যাপারে সম্মেলনের শুরু থেকেই সরব হয় দলের একাংশ। কিন্তু তাঁর জায়গায় কাকে আনা হবে, সেই প্রশ্নে কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারেননি লালপার্টির নেতাকর্মীরা। সূত্রের খবর, দলের একাংশ চাইছেন পলাশ দাসকে। আর একটি অংশ সোমনাথ ভট্টাচার্যকে জেলা সম্পাদক করতে চাইছে। কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়দের ‘লবি’ চাইছে তরুণ নেতা সায়নদীপ মিত্রsk ওই দায়িত্ব দিতে। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন কমিটির প্যানেল পেশ হওয়ার পরই কক্ষ থেকে ২৭ জন জেলা কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি জটিল দেখে মানসবাবু নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। আলিমুদ্দিনের নেতাদের হস্তক্ষেপে ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করলেও মধ্যমগ্রামের সনৎ বিশ্বাস ও রাজারহাট-নিউটাউনের সৌমেন চক্রবর্তী নাম প্রত্যাহার করেননি। অগত্যা রবিবার বারাসতে দলের জেলা কার্যালয়ে হবে ভোটাভুটি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen