মঙ্গলে দুর্গাপুজো নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি বৈঠক কলকাতা পুরসভার
করোনাকালে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো নিয়ে মহালয়ার দু’দিন আগেই বিশেষ প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরসভা। রাস্তা মেরামতের পাশাপাশি পুলিশ ও দমকল এবং বিদ্যুতের জোগানের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে সিইএসসিকেও তলব করা হয়েছে। মহানগরের বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের জন্য পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও পূর্ত, কেএমডিএ, বন্দর এবং এইচআরবিসিকেও মঙ্গলবার পুজো নিয়ে প্রস্তুতিতে ডেকেছেন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আয়োজনে পক্ষে সওয়াল করে রবিবার পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, “রাস্তা, আলো, জল, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেই প্রস্তুতি বৈঠক। উৎসবের ক’দিন কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মণ্ডপে ও রাস্তায় দর্শনার্থীদের মেনে চলতে পুরসভা সাহায্য করতে পারে তা নিয়েও ওই বৈঠকে কথা হবে। মনে রাখতে হবে, মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সবার আগে, সেই ব্যবস্থাই করা হবে।” পুজোর ক’দিন রাস্তায় পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বিশেষ ইউনিট নামিয়ে করোনা মোকাবিলায় দর্শনার্থীদের সাহায্য ও সুরক্ষা দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
মহালয়ার ৩৫ দিন পর ২২ অক্টোবর দুর্গাষষ্ঠী। সরকারিভাবে এখনও ঘোষিত না হলেও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে গঙ্গার ঘাটে মহালয়ায় পিতৃতর্পন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরসভা ও পুলিশ। গঙ্গার ঘাটে কেউ যদি একা একা পিতৃতর্পন করতে আসেন তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনও আইন বা নির্দেশ কোনওটাই প্রশাসনের কাছে নেই। তবে পুরসভার তরফে তর্পনকারীদের বার্তা, ছয় ফুট দূরত্ব মেনে বসে বা দাঁড়িয়ে পূর্বপুরুষের উদ্দেশে মন্ত্রোচ্চারণ করুন। পুরোহিত বা তর্পনকারীদের মুখে যথাসম্ভব মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।
মহালয়ার ভোরে গঙ্গার ঘাটগুলিতে আসা হাজার হাজার পূণ্যার্থী যাতে নিরাপদে ও সুরক্ষার সঙ্গে তর্পন করতে পারেন তার জন্য সামগ্রিক আয়োজন সম্পূর্ণ করতে ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ। একইসঙ্গে জলে দুর্ঘটনা ঘটলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও ডুবুরি টিমের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কলকাতার পুজো কমিটিগুলির বৃহত্তম সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সম্পাদক শাশ্বস্ত বসু জানিয়েছেন, “গুজরাতে এখনও করোনার দাপট চলছে। তবু আহমেদাবাদে গরবা উৎসবের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়েছে। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসা বাংলায় পিতৃতর্পন ও পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এবং পুরসভা।”