অধিকাংশ ফুড সাপ্লিমেন্টকে ওষুধের তালিকায় রাখার দাবি, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা শিল্পমহলের

বাজারচলতি অধিকাংশ ফুড সাপ্লিমেন্টকে খাদ্য বা ‘ফুড’-এর আওতা থেকে সরিয়ে, রাখতে হবে ‘ওষুধ’-এর আওতায়। একাধিক কেন্দ্রীয় সচিবের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এমনই বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রকে। তাতে পড়ে গিয়েছে তোলপাড়।

February 19, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ফুড সাপ্লিমেন্ট

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাজারচলতি অধিকাংশ ফুড সাপ্লিমেন্টকে খাদ্য বা ‘ফুড’-এর আওতা থেকে সরিয়ে, রাখতে হবে ‘ওষুধ’-এর আওতায়। একাধিক কেন্দ্রীয় সচিবের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এমনই বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রকে। তাতে পড়ে গিয়েছে তোলপাড়। ওষুধ নির্মাতাদের সংস্থা আইডিএমএ, হেলথ ফুড অ্যান্ড ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (হাটসা) প্রভৃতি শীর্ষ সংগঠন টানা জরুরি বৈঠক করেছে। ফ্যাসাইকে প্রতিবাদও জানিয়েছে তারা। ৮ মার্চ ফের বৈঠকে বসছে আইডিএমএ। শিল্পমহলের আশঙ্কা, এতে ফুড সাপ্লিমেন্টের ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা সঙ্কটে পড়বে। ফাঁপরে মোদি সরকারও। কারণ, তাদেরই শীর্ষ আমলারা জনস্বার্থে পরিবর্তন আনতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন রিপোর্টে।

ফুড সাপ্লিমেন্টগুলির মধ্যে ‘নিউট্রাসিউটিক্যাল’গুলি (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি) নিয়েই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কমিটি। এগুলিকে ‘খাদ্যদ্রব্য’ নাকি ‘ওষুধ’, কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা উচিত, স্থির করতে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতে ছিলেন ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আয়ুষ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব। ছিলেন ফ্যাসাইয়ের সিইও, আইসিএমআর-এর ডিজি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিজিএইচএস এবং সিডিএসসিও’র ডিসিজিআইয়ের মতো শীর্ষকর্তারাও।

২০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে তাঁরা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, যেসব ফুড সাল্পিমেন্টে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রভৃতি আছে এবং নির্দিষ্ট ডোজে খেতে বলা আছে, সেগুলিকে ‘ফুড’ বা খাদ্যদ্রব্য থেকে সরিয়ে ‘ড্রাগ’ বা ওষুধে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। দ্বিতীয়ত, ফুড সাল্পিমেন্ট, নিউট্রাসিউটিক্যালসের গুণমান সুনিশ্চিত করতে পৃথক জিএমপি বা গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস চালু হোক। তৃতীয়ত, যেসব সাপ্লিমেন্ট নির্দিষ্ট রোগ কমিয়ে দেওয়া বা সারিয়ে দেওয়ার দাবি করছে, সেগুলি ‘ওষুধ’ বলে গণ্য হোক।

ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টকে মোটামুটিভাবে ছ’ভাগে ভাগ করা যায়। হেলথ সাপ্লিমেন্টস, নিউট্রাসিউটিক্যালস, প্রো ও প্রিবায়োটিকস, বোটানিক্যাল বা এক্সট্র্যাক্টস, ফুড ফর স্পেশাল ডায়েটারি ইউজ ও ফুড ফর স্পেশাল মেডিক্যাল পারপাস। এগুলির ৮০ শতাংশই ক্যাপসুল ও ট্যাবলেটধর্মী নিউট্রাসিউটিক্যালস। শিল্পমহলের আশঙ্কা, এগুলি ওষুধ মন্ত্রকের আওতায় গেলে অধিকাংশ রপ্তানিই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পণ্যগুলিকে ‘ফুড’ হিসেবেই দেশ থেকে কেনে বিদেশি সংস্থাগুলি। ‘ওষুধ’-এ পরিণত হলে কেনাবেচা বন্ধ হবে। কমিটি ওষুধ ও পণ্যসংক্রান্ত আইনেও সংশোধনী চাইছে। দীর্ঘসূত্রিতায় এতেও ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে বলে মনে করছে তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen