ব্রাত্য বাংলার দুর্গাপুজো, গঙ্গাসাগর মেলা! মোদী সরকারের আঞ্চলিক ক্যালেন্ডারেও বঞ্চনার শিকার বাংলা?
কেন্দ্রের চালু করা উৎসব নামের পোর্টালে ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে ধরে আঞ্চলিক স্তরের পার্বণগুলির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের প্রতিটি রাজ্যের আঞ্চলিক উৎসব বা পার্বণকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে তুলে ধরার জন্য পোর্টাল খুলেছে কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রক। কয়েকশো মেলা, অনুষ্ঠান, উৎসবকে সাল-তারিখ অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। সেই তালিকায় বাংলার কোনও উৎসবের উল্লেখ নেই! দুর্গাপুজো থেকে গঙ্গাসাগর মেলা, পর্যটকদের জন্য কোনও উৎসবেরই উল্লেখ করেনি কেন্দ্রের। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বাংলাকে আর্থিকভাবে ধারাবাহিক বঞ্চনা তো রয়েইছে, একই সঙ্গে সংস্কৃতির প্রশ্নেও কেন্দ্র একই পথে এগোচ্ছে।
কেন্দ্রের চালু করা উৎসব নামের পোর্টালে ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে ধরে আঞ্চলিক স্তরের পার্বণগুলির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নামকরা ও ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলির পাশাপাশি তুলনায়ভাবে ক্ষুদ্র পরিসরের উৎসবগুলিও ঠাঁই পেয়েছে ক্যালেন্ডারে। গুজরাতের সোমনাথ নৃত্য উৎসব, ব্রহ্মপুত্র কার্নিভাল বা চান্দেরি ফেস্টিভ্যাল রয়েছে। কচ্ছের রন উৎসব থেকে শুরু করে কামাখ্যা হেরিটেজ ওয়াক রয়েছে তালিকায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কীভাবে পৌঁছনো যায়, কী কী দর্শনীয় স্থান আছে, তারও হদিশ দিচ্ছে কেন্দ্র।
পোর্টালটিতে দেশের সেরা উৎসবগুলিকে আলাদা করে তুলে ধরেছে পর্যটন মন্ত্রক। তালিকায় আছে দেওয়ালি ও দীপাবলি, রয়েছে নবরাত্রি, হোলির মতো উৎসব। হোলির প্রসঙ্গে শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবের উল্লেখ করা হয়েছে। রয়েছে বসন্তোৎসবের কিছু বর্ণনাও। কিন্তু সেই উৎসবকে জায়গা দেওয়া হয়নি ক্যালেন্ডারে। দিল্লি বা গুজরাত, কোথায় কোথায় বসন্তোৎসব হয়, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে ক্যালেন্ডারে। দেশজুড়ে কোথায় কোথায় নবরাত্রি উৎসব উদযাপিত হয়, তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনা, বিজয়া দশমীর ব্যাখ্যা দেওয়া থাকলেও, ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলার শারদোৎসবকে জায়গা দেওয়া হয়নি! নানান মহল থেকে বলা হচ্ছে। বিজেপি সরকারের থেকে এটাই কাম্য। কারণ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিকৃত করার বিজেপির অভ্যাস।