জাল সিম চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল লালবাজারের সাইবার থানা, বেনামে তোলা সমস্ত সিম ব্যবহৃত হচ্ছে সাইবার প্রতারণায়

সাইবার থানা, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা ও গুন্ডাদমন শাখার আধকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ ‘রেইড টিম’ তৈরি হয়।

March 1, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জাল সিম কাণ্ডের তদন্তে নেমে মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা। ধৃতদের থেকে শহরে সক্রিয় আরও বেশ কিছু চক্রের হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বেলেঘাটা ও তপসিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিস। সাইবার থানা, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা ও গুন্ডাদমন শাখার আধকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ ‘রেইড টিম’ তৈরি হয়।

লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুনরায় অভিযানে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন তিলজলা রোডের ৩৭ নম্বর বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। সেখানেই রাজেশ মাহাত নামে এক সিম ব্যবসায়ীর দোকান। তিনি আদতে কেষ্টপুরের বাসিন্দা। পুলিসের দাবি, তাঁর পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) থেকে বেশ কিছু ভুয়ো সিম আগেই সাইবার প্রতারণায় ব্যবহৃত হয়েছে। তার ভিত্তিতেই সেখানে রেইড করা হয়। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫০টি জাল সিম। যেগুলি ‘প্রি-অ্যাক্টিভেট’ করা রয়েছে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট গ্রাহকের নামে ইতিমধ্যেই ‘রেজিস্টার্ড’ হয়ে গিয়েছে সিমগুলি। তাহলে সেগুলি দোকানে কেন? পুলিসের দাবি, এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সিম বিক্রেতা রাজেশ। ঘটনাস্থল থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪টি বায়োমেট্রিক মেশিন ও সাতটি মোবাইল ফোন।

প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তকে জেরা করে সাইবার বিভাগের অফিসাররা জেনেছেন, গ্রাহকদের বলা হতো, ‘মেশিনে আঙুলের ছাপ’ নেওয়ার বৈদ্যুতিক রশ্মি সঠিকভাবে কাজ করছে না। তার জন্য মেশিনে কেমিক্যাল আস্তরণ লাগানো হয়েছে। যাতে সঠিকভাবে আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়।’ এখানেই লুকিয়ে রয়েছে প্রতারণার ভ্রূণ। আঠার উপর আঙুল রাখায় গ্রাহকের আঙুলের ছাপ উঠছে। এরপর শুরু হয় ‘অপারেশন’।

একইভাবে বেলেঘাটাতে আরও একটি সাইবার কাফেতে চলছিল সিম জালিয়াতি। রাজা জন্মেঞ্জয় রোডে রীতিমত দোকান খুলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে সিম কার্ড উঠত সংশ্লিষ্ট পিওএস থেকে। এই পয়েন্ট অব সেলটি চালাতেন তিন যুবক। তাঁদের নাম সজল মণ্ডল, অরিজিৎ রায় ও মহম্মদ রেজা। তাঁরা কেউ বেলেঘাটার বাসিন্দা নন। সূত্র্রের দাবি, দোকানটি ভাড়া নিয়ে পার্টনারশিপে চালাতেন তিন যুবক। ওই সাইবার কাফে থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪২টি সিম কার্ড। সেগুলির মধ্যে কিছু প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু এই কেসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম সহ একাধিক জায়গায় সিম পাঠানো হতো এই দোকান থেকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen