PF-র ধাঁচে কিন্তু বিনামূল্যে প্রায় দু’কোটি মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা দিচ্ছে রাজ্য
প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এসএমএসের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের হিসাব পাবেন রাজ্যের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ উপভোক্তা। অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রতি মাসে সামাজিক সুরক্ষার বার্তা বহন করবে রাজ্যের এ’উদ্যোগ। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো, কিন্তু বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১৮ বছর বয়সে কেউ এই প্রকল্পে নাম লেখালে, ষাটোর্ধ্ব হওয়ার পর এক দফায় ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা (বর্তমান সুদের হার অনুসারে) পাবেন। অ্যাক্সিডেন্টাল বেনিফিটের মতো আরও একাধিক সুবিধাও রয়েছে।
প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজ্যকে প্রতি মাসে মাথা পিছু ৫৫ টাকা করে জমা করতে হয়। আগে মাথা পিছু ২৫ টাকা দিতে হত উপভোক্তাকে, বাকি ৩০ টাকা দিত রাজ্য সরকার। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে রাজ্য।
প্রতি মাসে টাকা জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপভোক্তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস মারফত সেই বার্তা পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে নবান্ন। যেমন চাকরিজীবীদের পিএফের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে! বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য শ্রমদপ্তর। বার্তা পাঠানোর পরিষেবা দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে এই প্রকল্পের উপভোক্তারা যাতে নিজদের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পান, তাই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে জোরকদমে।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ধাপে ধাপে সমস্ত স্কিম একছাতার তলায় এনে সামগ্রিকভাবে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পে রাজ্যকে প্রতি মাসে ৯৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা! পরিসংখ্যান অনুসারে, একেবারে প্রথম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪৪ হাজার ৬৩০ জন এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, যার জন্য খরচ হয়েছিল মাত্র ৯ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, অর্থাৎ মমতা আমলে ৩৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৪৭ জন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। মোট খরচ হয়েছে ২,৬০৬ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা