কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির নেপথ্যে মাও যোগ? বিস্ফোরক দাবি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে

March 4, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ছাত্র ইন্দ্রানূজ রায়ের নাম। তাঁকে গাড়ি ‘চাপা’ দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছিল। শিক্ষামন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একেবারে মুহূর্ত মেপে, প্রতিটি ধাপের ভিডিও পোস্ট করে দেখিয়েছেন আদৌ শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা দেয়নি।

ইন্দ্রানূজের রাজনৈতিক পদক্ষেপ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যাদবপুরের ঘটনাপ্রবাহ নয়া মোড় নিয়েছে। মাওবাদী যোগের তথ্য সামনে এসেছে। আহত ছাত্র ইন্দ্রানূজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তাঁর মাওবাদী যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। রাষ্ট্রের ধ্বংস চেয়ে মাওবাদীদের ছবি সহ ২০২৩ সালে ফেসবুকে পোস্ট করেছে ইন্দ্রানূজ।

পোস্টে লেখা হয়েছে।

"লাল সেলাম কমরেড বিবেক!
লাল সেলাম, কমরেড কমলা!
মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদ দীর্ঘজীবী হোক!
অপারেশন সমাধান-প্রহারের নামে ভারতের জনগণের উপর গৃহযুদ্ধ চালানো ভারত রাষ্ট্র ধ্বংস হোক!"

জানা যাচ্ছে, রেভোল্যুশনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশন নামক একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ইন্দ্রানূজ। সেই সংগঠনটি মাওপন্থী। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের কথা প্রচার করে। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার নেতা-মন্ত্রীদের ওপরে হামলার ঘটনায় মাওবাদী যোগের তথ্য উঠে এসেছে। এরা কারা? কোথা থেকে আসে টাকা, কোন অদৃশ্য হাত রয়েছে এদের পেছনে, প্রশ্ন উঠছে।

বিরোধীরা রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্দ্রানূজকে সহানুভূতি জানাতে হাসপাতালে গিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে তাঁকে কুকুরের সাথে তুলনা করতেও ছাড়েনি ইন্দ্রানূজ। তা নিয়েও উত্তাল সমাজ মাধ্যম।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jadavpur university case, #jadavpur university, #SFI, #Maoists, #vandalised

আরো দেখুন