বাড়ছে ডিমেনশিয়া – নিরাময় কিভাবে?
বয়স হয়েছে। টাকা রেখে ভুলে যাচ্ছেন? স্নান করেও মনে হচ্ছে করেননি? ভুল যাচ্ছেন কোথায় চশমা রেখেছেন? আপনি ডিমেনশিয়ার শিকার নন তো?
ভিটামিন ডি-এর অভাব
কেন্টাকি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা প্রায় ১৩০০ জন বয়স্কর ওপর টানা ছ’বছর সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর যথেষ্ট অভাব, তাঁদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ। অভাব মাত্রা অতিরিক্ত হলে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১২৫ শতাংশ।
অল্প বয়সে অন্য কারণ
৫০-৫৫ বছর বয়সেও এই অসুখ প্রকাশ পেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে তারও আগে। সেক্ষেত্রে অপুষ্টিজনিত কারণ, ভিটামিন ডি, বি-কমপ্লেক্সের অভাব, মাথায় আঘাত বা অ্যাক্সিডেন্ট, শরীরে সংক্রমণ যেমন-হারপিস, এইচআইভি, ব্রেন টিউমার, জন্মের পরই কোনও সংক্রমণ বা ভাইরাল এনকেফেলাইটিস, হরমোনাল ডেফিসিয়েন্সি বা থাইরয়েড কম অথবা বয়সবকালে স্ট্রোকের ফলেও ডিমেনশিয়া অসুখ দেখা দিতে পারে।
পুষ্টি শক্তি
ওযুধে ডিমেনশিয়া কাবু করা কঠিন। এমন ওষুধ নেই যা রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় পুনরায় ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই আগাম সতর্ক হতে বা মস্তিষের স্নায়ু কোষ গুলিকে সতেজ রাখতে জরুরী –
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সামদ্রিক মাছ, কাঁকড়া ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ
শাক-সবজিতে থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
হলুদ (কাঁচা বা গুড়ো) স্মৃতশক্তি বা ব্রেনের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হলুদে কিউকারমিন নামক উপাদান স্নায়ুকোষের বিনষ্ট হওয়া রোধ করে
ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের পরিবার-পরিজনের আন্তরিকতা ও ভালবাসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়