মমতাকে কী বললেন ঋত্বিক?
এরপর গত বছরে বড়দিনের আবহে শহরের কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক যুগলের প্রকাশ্যে চুম্বনের ভিডিও নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শাড়ির আঁচল নামিয়ে পরার অভ্যেসকে ‘ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়ানো মেয়েদের’ সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মমতা শঙ্কর। এরপর গত বছরে বড়দিনের আবহে শহরের কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক যুগলের প্রকাশ্যে চুম্বনের ভিডিও নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়।
নেটপাড়ার সেই তরজায় বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল মমতা শঙ্করের একটি মন্তব্য। বর্ষীয়ান শিল্পী জানিয়েছিলেন, তিনি বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। তাঁর মতে, “জন্তুরাও বোধহয় আমাদের থেকে অনেক ভাল।” সম্প্রতি, নারী দিবসের প্রাক্কালে মমতা জানিয়েছিলেন নিজেদের চারপাশে ব্যক্তিত্বের বেড়াজাল আঁটোসাঁটো করে তুলে রাখতে পারছেন না, নিজেকে শক্ত রাখতে পারছেন না বলেই নাকি মেয়েরা কুপ্রস্তাব পান! মমতা শঙ্করের এহেন বক্তব্যের পরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়।
মমতা শঙ্করের মন্তব্যের পরপরই ফেসবুকের পাতায় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী লেখেন, ‘উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী’। নিজের এই মন্তব্যের সঙ্গে জুড়ে দেন ভাবুক ইমোজি। এখন প্রশ্ন, তবে কি নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেই একথা লিখেছেন ঋত্বিক? যদিও নিজের পোস্টে সরাসরি মমতা শঙ্করের নাম নেননি ঋত্বিক চক্রবর্তী।

তবে তিনি ঠিক কী বলতে চেয়ছেন তা নিজেদের মতো করে বুঝে নিয়ে নানান মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন ঋত্বিকের পোস্টের নিচে লেখেন, ‘নাম মমতা হলেও চরিত্র মমতাময়ী হবে, সেটা ভাবা ভুল। তা সে কুলকার্নি হোক বা শঙ্কর। (আরেকটা বলব না)’ আরও একজন লিখেছেন, ‘সবার জীবনে তো জন্মগত ভাবে রবির উদয় ঘটে না। এই সমাজে কোন অবস্থান থেকে যে মানুষ কতভাবে নির্যাতিত হয়, এই সহজ সত্যটা ওঁর অজানা।’ একজন আবার ঋত্বিকের সুরে সুর মিলিয়ে লেখেন, ‘আরে বেশিরভাগ মানুষই শঙ্কর প্রজাতির প্রাণী…’। কেউ আবার বলেছেন, ‘মানে ওঁর মধ্যে একটুও মমতা নেই বলছেন; সবটাই মায়া’। কারোর কটাক্ষ, ‘সব ঝামেলা ঐ মমতা নামেই’। কেউ আবার কোনওকিছু না জেনে বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘আবার কী বললেন?’