স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি ভেষজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে
সে খাবার জিনিস হোক বা দোলের সময় আবির থেকে রঙে। একদিনের রঙের ছোঁয়াতেই ভুগতে পরের বেশ কয়েক দিন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দোল। সারা দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হবে হোলি উৎসব। তাই এখন বাজারে গেলেই চারিদিকে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, কমলা, গোলাপি আবিরের ছড়াছড়ি। আজকাল সবেতেই রাসায়নিকের ছোঁয়া। সে খাবার জিনিস হোক বা দোলের সময় আবির থেকে রঙে। একদিনের রঙের ছোঁয়াতেই ভুগতে পরের বেশ কয়েক দিন।
বিশেষ করে শিশুদের কোমল ত্বকে বা চোখে সারা জীবনের জন্য বড় ক্ষতি করে দিতে পারে এই সব বাজার চলতি রাসায়নিক সমৃদ্ধ রং। ফলে এখন অনেকেই ঝুঁকেছেন ভেষজ আবিরের দিকে। ভেষজ আবিরের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক বছর ধরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দোলের আগে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ভেষজ আবির তৈরি করছেন। সেগুলি বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে হচ্ছে বাড়তি লক্ষ্মীলাভ। স্থানীয় ধন্দুগছ এলাকায় শক্তি ও সোনার তরী দলের মহিলারা এবারও যৌথভাবে কাজ শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার পেয়েছেন তাঁরা। কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ অঞ্জলি শর্মা বলেন, এলাকার কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা দলকে ভেষজ আবির তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিশেষ কিছু ফুল, ফল, পাতা ব্যবহার করে আবির বানানো হচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের কথায়, গাঁদা ফুল, কাঁচা হলুদ, বিট, অপরাজিতা, পলাশ ও সিঁদুরে ফল সহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে হয় ভেষজ আবির তৈরি করতে। হালকা রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পর প্যাকেটজাত করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেষজ আবির ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তাছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হয় না।