দোল ও হোলিতে রাজ্যে অপ্রীতিকর যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোল ও হোলিতে কলকাতা শহর সহ আশপাশের জেলা, শহরতলিতে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলাতে সজাগ প্রশাসন। নানান বিধি-নিষেধ জারির পাশাপাশি সর্বত্র সতর্কতা অবলম্বন করেছে পুলিশ। দক্ষিণ বঙ্গে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা থেকে কাকদ্বীপ, হুগলি, হাওড়া সর্বত্র সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। শহরজুড়ে মোতায়েন ৪০০০ পুলিস। বাহিনী টহলদারি করবে। প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে নজরদারি চলবে। পাশাপাশি, বারাকপুর শিল্পাঞ্চল শান্তিপূর্ণ রাখতে পুলিসের বিশেষ টহল শুরু হয়েছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোলমালের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে ভাটপাড়া, জগদ্দল, টিটাগড়ের মতো জায়গায় সশস্ত্র পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতায় প্রতিবছরের মতো এবারও সাধারণ জনগণের জন্য দোল এবং হোলি উপলক্ষে বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর। কিন্তু, এবছর প্রথম রীতি ভেঙে সরোবরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ক্লাবকে অনুষ্ঠান করার জন্য শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে কেএমডিএ। সাধারণ জনগণের জন্য কাল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকে পরের দিন অর্থাৎ শনিবার, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সরোবরের গেট বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র শর্তসাপেক্ষে ক্লাবের সদস্যরা এবং তাঁদের গেস্টরা ঢোকার অনুমতি পাবেন। বিভিন্ন ক্লাবের প্রত্যেক মেম্বার এবং তাঁদের অতিথিদের জন্য বিশেষ পাস ইস্যু করা হয়েছে, যেটা ছাড়া ঢোকা যাবে না।
উৎসব চলছে হুগলীর চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, কোন্নগর, রিষড়া, চণ্ডীতলায়। চণ্ডীতলায় বৃহস্পতিবার থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। শ্রীরামপুরে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। রিষড়ায় বসন্ত উৎসব, আলপনা উৎসব পালন করা হয়। সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বাচ্চাদের সঙ্গে চুঁচুড়া পুরসভায় দোল উৎসব পালন করেন। চুঁচুড়ার বিভিন্ন ঘাটে আগে একাধিকবার দোল, হোলির সময় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার আগেভাগেই সতর্ক পুলিশ। চুঁচুড়ার বিপজ্জনক ঘাটগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কোনও ঘাটেই স্নানের জন্য নামা যাবে না।