রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুরুলিয়া থেকে জলপাইগুড়ি, বঙ্গ BJP-র জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই শুরু দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহ

March 16, 2025 | 2 min read

পুরুলিয়া থেকে জলপাইগুড়ি, বঙ্গ BJP-র জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই শুরু দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার বাংলার ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে দলীয় কোন্দল, বিদ্রোহ। ২৫টি জেলার সভাপতির নাম ঘোষিত হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১৭ জন নতুন মুখ রয়েছেন। আট জন পুরনো রয়েছেন। এতেই পুরনোদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

জলপাইগুড়িতে শ্যামল রায়কে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। তাঁর নাম ঘোষিত হতেই জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির একাংশ প্রকাশ্যে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, শ্যামল আরএসপিতে ছিলেন, সেখান থেকে তিনি তৃণমূলে যান। পরে জোড়াফুল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন। এমন নেতাকে জেলা সভাপতি করায় গেরুয়া পার্টির আদি নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন।

অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সংগঠন কার্যত ল্যাজেগোবরে। যার জেরে আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতির নামই ঘোষণা করতে পারেনি না বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, চা বলয়ে আলিপুরদুয়ারে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার মতো লোক পাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। জেলা সভাপতিই নয়, মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা এখনও অধরা। ধৈর্য হারাচ্ছেন দলের নিচুতলার কর্মীরা। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশও ক্ষিপ্ত। তাঁদের অভিযোগ, নেতৃত্বের অভাবে দলীয় সাংগঠনিক কাজকর্ম মুখ থুবড়ে পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে ভোট কমে যাওয়ায় এবং মাদারিহাট উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ায় জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট হয়ে পড়েছে। মণ্ডল, জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা না হওয়ায় ছন্নছাড়া ও দিশেহারা অবস্থা বিজেপির নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের।

পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি পদে রদবদল করেছে বিজেপি। এতদিন জেলা সভাপতি ছিলেন বিবেক রাঙা। তাঁকে সরিয়ে শঙ্কর মাহাতকে জেলা সভাপতি করেছে বিজেপি। মাহাত এবং আদিবাসী অধ্যুষিত পুরুলিয়া জেলার সভাপতি হিসেবে বিবেক রাঙাকে মেনে নিতে আপত্তি ছিল দলের অধিকাংশের। বিবেককে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ভূরিভূরি অভিযোগও জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এনিয়ে জে পি নাড্ডাকেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিবেক। একদা বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ঠ নেতাদের কার্যত কোণঠাসা করে রেখে দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল বিবেকের বিরুদ্ধে। বিবেকের পরিবর্তে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শঙ্কর মাহাতকে। তাঁকে নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভের অন্ত নেই। বিক্ষুব্ধ নেতাদের মতে, বিবেককে সরিয়ে যাঁকে জেলা সভাপতি করা হল, তিনি তৈলমর্দনে বিবেককেও হার মানান।

দলের নেতাদের মতে, দলের যা পরিস্থিতি, তাতে একজন দক্ষ সংগঠককে জেলা সভাপতি হিসেবে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, যাঁকে জেলা সভাপতি করা হল, তিনি কিছুই পারেন না। এই ভাবে কি নির্বাচন জেতা যায়? কার্যত ক্ষোভের আগুন জমছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #BJP West Bengal, #politics, #District President

আরো দেখুন