তৃণমূলের লাগাতার আন্দোলনের জের! ভুয়ো EPIC সাফাইয়ে নামছে নির্বাচন কমিশন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে রাজ্যে একই নম্বরের এপিক বিতর্কে এবার নির্বাচন কমিশন মাঠে নামল। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যে থাকা একই নম্বরের এপিক চিহ্নিত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের জেলাশাসকদের এই মর্মে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস। কমিশন জানিয়েছে, চিহ্নিতকরণের পর সেগুলিকে নতুন নম্বর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভুয়ো এপিক নিয়ে কমিশনের দরবারে পৌঁছেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রীতিমতো আন্দোলন গড়ে তোলে ঘাসফুল, সংসদে ঝড় তুলেছে। কমিশনের সিদ্ধান্তে জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগই প্রতিষ্ঠিত হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
চিহ্নিতকরণের কাজ কীভাবে হবে? এতদিন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেই দেশের সমস্ত ভোটারের বিস্তারিত তথ্য জমা থাকত। তা যাচাইয়ের অধিকার ছিল কেবল কমিশনেরই। এবার থেকে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারও ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। তাঁদেরই একাধিক রাজ্যে একই এপিক নম্বরের কার্ড চিহ্নিত করতে হবে। এমন কার্ড চিহ্নিত হলে প্রথমে দেখতে হবে, এপিক নম্বর প্রথম কোন রাজ্যের। প্রথম যে রাজ্য ওই এপিক নাম্বার ব্যবহার করেছিল, সেই রাজ্যকে কিছুই করতে হবে না। অন্য যে রাজ্যে পরে ওই এপিক নম্বর ব্যবহার হয়েছে, সেই রাজ্যকেই তা পরিবর্তন করতে হবে। যদি অন্য রাজ্যের কোন এপিক কার্ডের নম্বরের সঙ্গে এই রাজ্যের এপিক কার্ডের নম্বর মিলে যায়, সেক্ষেত্রে এই রাজ্যের ইআরও নম্বর বদল করে নতুন নম্বর তৈরি করতে পারবেন।
কেবলমাত্র সে’সমস্ত এপিক কার্ডের নতুন নম্বর হবে, যাদের একাধিক রাজ্যে একই নম্বরের এপিক রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভোটার আই কার্ডে সোজা দিকে থাকবে নতুন এপিক নম্বর এবং পিছন দিকে থাকবে পুরনো এপিক নম্বর। যেহেতু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পুরনো ওই এপিক নম্বর সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করে এসেছেন, তাই ভবিষ্যতে যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। কমিশনের নির্দেশ, দ্রুততার সঙ্গে সব এপিক কার্ড খতিয়ে দেখতে হবে।