হাওড়া স্টেশনে ৫০০’র বেশি ‘গ্রে এরিয়া’ চিহ্নিত করেছে রেল পুলিশ, বসবে আরও ক্যামেরা
গত ৫ মার্চ স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে রাজস্থানে পাচার করা হয়েছিল। জিআরপির তৎপরতায় শিশুটি মায়ের কোলে ফিরলেও হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রেল পুলিশকে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ স্টেশনের সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে, যেখানে তাদের নজরদারি সেই অর্থে নেই। পুলিশি পরিভাষায় যাকে বলে ‘গ্রে এরিয়া’। সেই সূত্রে হাওড়া স্টেশনে ৫০০’র বেশি ‘গ্রে এরিয়া’ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় বসানো হবে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। গভীর রাতেও প্ল্যাটফর্মে টহল দেবেন সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশকর্মীরা। বর্তমানে গোটা স্টেশনে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা মেরেকেটে ২৫০।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত ৫ মার্চ স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে এক শিশুকন্যাকে অপহরণ করে রাজস্থানে পাচার করা হয়েছিল। জিআরপির তৎপরতায় শিশুটি মায়ের কোলে ফিরলেও হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রেল পুলিশকে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ স্টেশনের সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে, যেখানে তাদের নজরদারি সেই অর্থে নেই। পুলিশি পরিভাষায় যাকে বলে ‘গ্রে এরিয়া’। সেই সূত্রে হাওড়া স্টেশনে ৫০০’র বেশি ‘গ্রে এরিয়া’ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় বসানো হবে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। গভীর রাতেও প্ল্যাটফর্মে টহল দেবেন সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশকর্মীরা। বর্তমানে গোটা স্টেশনে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা মেরেকেটে ২৫০।
স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে শিশুকন্যা অপহরণের পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে বসে জিআরপি ও আরপিএফ। এন্ট্রি ও এগজিট পয়েন্ট, প্ল্যাটফর্ম সহ গোটা হাওড়া স্টেশন খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে তারা। তাতেই চিহ্নিত হয় ৫০০টিরও বেশি জায়গা, যেখানে সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই। তাই কোনও অপরাধ ঘটানোর পর সবার নজর এড়িয়ে স্টেশনের বাইরে চলে যাওয়া কার্যত জলভাত হয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীদের কাছে। তাই শীঘ্রই অত্যাধুনিক ৫০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে ওই সব কোনায়। প্রতিটি ক্যামেরায় থাকবে এফআরএস বা ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম। হাওড়া জিআরপির এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘প্রতিটি গ্রে এরিয়ায় ক্যামেরা লাগানো হবে। স্টেশনের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ প্ল্যাটফর্মের শেড কিংবা ট্রেনের ইঞ্জিনের মাথায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির উঠে পড়ার মতো ঘটনা আটকাতেও সিসি ক্যামেরার নজরদারি কাজে লাগবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।