হাওড়া পুরসভার ঠিকানায় ১৪০০ ভুয়ো ভোটারের খোঁজ মিলল

হাওড়া পুরসভার ৭ নম্বর ঋষি বঙ্কিম রোড। জেলার মুখ্য প্রশাসনিক দপ্তর ডিএম অফিসের ঠিকানা। এই ঠিকানায় নাকি ৮৯ জন হিন্দিভাষী ভোটারের বসবাস। ৪১ ও ৪২ নম্বর নিত্যধন মুখার্জি রোড। এই ঠিকানায় একসময় পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার ছিল। পরে সেটি ভেঙে ফেলা হলেও, এখনও নাকি ৪১১ জন ভুতুড়ে ভোটারের বাস সেখানে। আবার চার্চ রোডের কলভিন কোর্টের পাশে থাকা একটি রেল কোয়ার্টারে ৩০০ জন লোক বসবাস করলেও, ভোটার লিস্ট বলছে ৭২৫ জন থাকেন সেখানে। অর্থাৎ চারশোরও বেশি ভোটারের অস্তিত্বই নেই।

March 21, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাওড়া পুরসভার ৭ নম্বর ঋষি বঙ্কিম রোড। জেলার মুখ্য প্রশাসনিক দপ্তর ডিএম অফিসের ঠিকানা। এই ঠিকানায় নাকি ৮৯ জন হিন্দিভাষী ভোটারের বসবাস। ৪১ ও ৪২ নম্বর নিত্যধন মুখার্জি রোড। এই ঠিকানায় একসময় পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার ছিল। পরে সেটি ভেঙে ফেলা হলেও, এখনও নাকি ৪১১ জন ভুতুড়ে ভোটারের বাস সেখানে। আবার চার্চ রোডের কলভিন কোর্টের পাশে থাকা একটি রেল কোয়ার্টারে ৩০০ জন লোক বসবাস করলেও, ভোটার লিস্ট বলছে ৭২৫ জন থাকেন সেখানে। অর্থাৎ চারশোরও বেশি ভোটারের অস্তিত্বই নেই।

জেলা হাসপাতালের ঠিকানা ব্যবহার করে, এমন ১০০ জনের বেশি ভোটারের রেকর্ড রয়েছে ভোটার লিস্টে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় এলাকায় ভুয়ো ভোটার খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তারই ফলাফল হিসাবে মধ্য হাওড়ার এই তথ্য সামনে এসেছে। শুধু ভোটার কার্ড নয়, এই ঠিকানা ব্যবহার করেই আধার কার্ড বানিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও মিলছে বলে খবর। এদের মধ্যে অনেকেই আবার সাধারণ ফুটপাতবাসী।

রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়ক অরূপ রায় বলেন, ‘বাম আমলে এই ঠিকানাগুলো ব্যবহার করে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে ভোটার তালিকা থেকে এদের নাম বাদ দেওয়া হলেও, পরে অনলাইনে তারা আবার সেই ঠিকানায় নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার ‘সাফ’ করতে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, বাম জমানায় এম জি রোড, চার্চ রোড এলাকায় ফুটপাতে প্রচুর ভিনরাজ্যের বাসিন্দা থাকতেন। এদের ভোটার কার্ড তৈরির সময় পাশে থাকা প্রশাসনিক ভবনের ঠিকানাই ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটাই চলে আসছে প্রজন্ম ধরে। ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব মিলছে বেসরকারি আবাসনগুলো থেকেও। রামেশ্বর মালিয়া লেনের একটি আবাসনে চারটি ফ্ল্যাটের ২২ জন বাসিন্দা ইতিপূর্বেই নিজেদের ফ্ল্যাট বিক্রি করে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। অথচ এখনও তাঁদের নাম রয়ে গিয়েছে এখানেই। ভুতুড়ে ভোটার খোঁজার অভিযানে নামা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই, মধ্য হাওড়া তৃণমূলের সভাপতি নিলয় ঘোষাল বলেন, ‘ভোটের সময় এরা দিব্যি এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen