ডায়মন্ড হারবারের ৭টি ঘাটে তর্পণের ব্যবস্থা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভা কেন্দ্রের কোনও মানুষ অসুবিধাতে পড়লেই সাহায্য করার চেষ্টা করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর উদ্যোগে মহালয়ায় তর্পণের ব্যবস্থা করা হল ডায়মন্ড হারবারের সাতটি ঘাটে। সাংসদের নির্দেশ মেনে যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ সম্পূর্ণ করেছেন ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কর্মীরাই। পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ঘাটগুলিতে। নদীপথে টহল দেবে পুলিশের লঞ্চও।
প্রতিবছরই মহালয়ায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করতে কয়েক হাজার পুরুষ ও মহিলা ভিড় জমান ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদী সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটগুলিতে। এবার যুব তৃণমূল কর্মীরা গঙ্গার ঘাটগুলিতে তর্পণ করতে আসা পুরুষ ও মহিলাদের সুবিধার জন্য একাদিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের পুরসভা এলাকায় ছ’টি ঘাটে এই তর্পণ-এর আয়োজন করা হয়েছে। এগুলি হল মুক্তঙ্গন, জেটিঘাট, ছোট নদীর পাড়, কলেজ সংলগ্ন শ্মশানঘাট, ইঁটভাঁটা ঘাট ও বিসর্জনঘাট। তর্পণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের রায়চক ফেরিঘাটেও।
ওই ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি মাহাবুবার রহমান গায়েন জানিয়েছেন, তর্পণ করতে আসা মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘাটে নামার সিঁড়ি-সহ বেশ কিছু নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে সাংসদেরই উদ্যোগে। এর জন্য খরচ হয়েছে দু’লক্ষ টাকা। মহিলাদের জন্য ঘাটের কাছেই থাকছে চেঞ্জরুম।
এদিকে ডায়মন্ডহারবার শহরের গঙ্গার ঘাটগুলিতে যুব তৃণমূলের দুই নেতা সৌমেন তরফদার ও গৌতম অধিকারীর নেতৃত্বে করা হয়েছে তর্পণের নানা ব্যবস্থা। এপ্রসঙ্গে যুব নেতা সৌমেন তরফদার জানান, প্রতিটি ঘাটে তর্পণ করতে আসা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সাংসদের নির্দেশে আলাদাভাবে করা হয়েছে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা।
এছাড়াও তর্পণের জন্য নির্দিষ্ট গঙ্গার ঘাটগুলিতে পৌঁছনোর সুসজ্জিত প্রবেশদ্বার থাকছে। প্রতি ঘাটে থাকছেন দু’জন করে পুরোহিত। দুই ব্লকের সাতটি ঘাটেই যুব তৃণমূল কর্মীরা বিতরণ করবেন চা-বিস্কুট ও মিষ্টির প্যাকেট। এছাড়াও থাকছে জলসত্রের ব্যবস্থা থাকছে।