রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ডাবল ইঞ্জিন হরিয়ানায় রয়েছে বাংলার ভেজাল ওষুধের ‘শিকড়, প্যান গ্রুপ থেকে অ্যাজিথ্রোমাইসিনও জাল!

March 27, 2025 | 2 min read

ডাবল ইঞ্জিন হরিয়ানায় রয়েছে বাংলার ভেজাল ওষুধের ‘শিকড়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাওড়ার আমতা থেকে প্রেশারের ভেজাল ওষুধ কাণ্ডে ধৃত বাবলু মান্নাকে জেরা করে যে কয়েকটি রাজ্যের যোগসূত্র মিলেছিল, তার মধ্যে ছিল হরিয়ানা। ডাবল ইঞ্জিন হরিয়ানায় রয়েছে বাংলার ভেজাল ওষুধের ‘শিকড়’। প্যান গ্রুপের গ্যাসের ওষুধ থেকে অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন, কী নেই তাতে! এবং সেই ওষুধ ছড়িয়েছে বাংলারই আনাচে কানাচে।

বাবলু মান্নাকে জেরা করার পর বিষয়টি হরিয়ানার এফডিএকে জানায় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরই সোমবার সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে ফিরোজপুর বাঙ্গার শিল্পতালুকের এই কারখানায় হানা দেয় তারা। দেখা যায়, একসঙ্গে সেখানে বহু নামীদামি কোম্পানির জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। আবার প্যাকেজিংয়ের হাইটেক সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সেইসব ওষুধ প্যাকেটবন্দিও করা হচ্ছে। স্ট্রিপ থেকে কিউআর, সবই নিখুঁত নকল।

একদিকে সোনেপত, অন্যদিকে কলকাতা। এদিন লাগাতার অভিযান চলেছে এই শহরেও। সকাল থেকে ৬টা টিমে ভাগ হয়ে বাংলায় ওষুধের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার বাগড়ি মার্কেট, গান্ধী মার্কেট এবং মেহতা বিল্ডিংয়ে হানা দেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি টিমের মাথায় ছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলের একজন করে ড্রাগ সহকারী অধিকর্তা। আর তাঁদের অধীনে তিনজন করে ড্রাগ ইনসপেক্টর। সব মিলিয়ে ১৮ জন অফিসার হানা দেন এই তিন পাইকারি বাজারের দোকানে দোকানে।

৮০০’র বেশি ওষুধ ও ইঞ্জেকশন খতিয়ে দেখে তাঁরা ১৪টি সন্দেহজনক নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কেনই বা নমুনাগুলিকে সন্দেহজনক মনে হয়েছে তাঁদের? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০টি জরুরি ওষুধের স্ট্রিপে বারকোড লাগানো বাধ্যতামূলক করেছে। সেগুলির ক্ষেত্রে বারকোড স্ক্যান করলেই সেই ওষুধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বেরিয়ে আসার কথা। ১৪টি বাজেয়াপ্ত করা ওষুধ ওই ৩০০টি জরুরি ওষুধের তালিকাভুক্ত। তাতে বারকোডও ছিল। কিন্তু তা স্ক্যান করার পরও কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তা দেখেই ওষুধগুলি ভেজাল বলে সন্দেহ তীব্রতর হয়েছে আধিকারিকদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Haryana, #fake medicines, #Bablu Manna, #Medicine

আরো দেখুন