টারবাইন ছাড়াই সুবর্ণরেখা নদীর জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করছেন খড়্গপুর আইআইটির একদল গবেষক

কয়েকমাস ধরেই সৈকত নন্দী এবং ওঙ্কার বেঙ্কটিয়াল্লার এই গবেষণার ফল মিলতে শুরু করেছে।

March 27, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোনও টারবাইনের সাহায্যে নয়, শুধুমাত্র সুবর্ণরেখা নদীর জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়েই বিদ্যুৎ তৈরি করছেন খড়্গপুর আইআইটির একদল গবেষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারি ব্লকের ভসরাঘাটের সামনে এই কাজ করে তাক লাগিয়েছেন। খড়্গপুরের গবেষকদের এহেন যুগান্তকারী সাফল্য রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের নদীতে কার্যকর করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

কয়েকমাস ধরেই সৈকত নন্দী এবং ওঙ্কার বেঙ্কটিয়াল্লার এই গবেষণার ফল মিলতে শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে এলইডি লাইট জ্বলছে জলবিদ্যুতে। আগামীদিনে জঙ্গলকন্যা সেতুর পুরো আলোই এর মাধ্যমে জ্বালানোর পরিকল্পনা চলছে। কারণ, এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেশ কম। মাত্র দেড় লক্ষ টাকাতেই ১ কিলোওয়াট পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। এতে যেমন ইকো-ট্যুরিজমে জোয়ার আসবে, তেমনই স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তাহলে কেন চিরাচরিত পদ্ধতির জলবিদ্যুৎ নয়? গবেষকদের বক্তব্য, চিরাচরিত পদ্ধতিতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চাই বিশাল টারবাইন এবং তীব্র গতির জলপ্রবাহ। যদি প্রবাহ কম থাকে, তাহলে প্রয়োজন কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ তৈরি। অথচ এখানে ‘ভর্টেক্স ইনডিউসড ভাইব্রেশন’ নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। ছয় থেকে ১০ ফুট গভীর জল থাকলেই তা ব্যবহার করা সম্ভব। যেখানে পরিকাঠামো নেই, জলস্তর কমে-বাড়ে সেখানে এই প্রযুক্তি বিশেষ উপযোগী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen