বকেয়া জিএসটি নিয়ে সংসদে প্রতিবাদ তৃণমূল সহ বিরোধীদের
সংসদে আজ তৃণমূল কংগ্রেস সহ আটটি রাজনৈতিক দল সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন। আজকের ধর্নার মূল বিষয় ছিল জিএসটি। এর আগেও বিভিন্ন বিরোধী দল বারংবার সরব হয়েছে জিএসটি প্রসঙ্গে। কেন্দ্র কোনও পরিকাঠামো তৈরি না করেই ১লা জুলাই ২০১৭ মধ্যরাতে জিএসটি চালু করেন। তারপর থেকেই ভেঙে পড়ে দেশের অর্থনীতি। ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে প্রতি বছরের জিডিপি বৃদ্ধির হার। আগের বছর থেকেই রাজ্যগুলো কেন্দ্রের থেকে পাওনা জিডিপির ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। আজ আবারও এই বিষয়ে আট বিরোধী দল সংসদে ধর্না প্রদর্শন করে। দলগুলি হলো তৃণমূল কংগ্রেস, দ্রাবিড় মুন্নেত্র কঘম, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিথি, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, ‘ভগবানের মার’। জিএসটি ইস্যুতে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে দিনকয়েক আগেই সরব হয়েছিলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর কথায়, অর্থনীতির ভরাডুবির দায় এখন কেন্দ্র এড়িয়ে যাচ্ছে। উল্টে ভগবানের দোহাই দিচ্ছে। অমিতবাবুর অভিযোগ, নোট বাতিল বা তড়িঘড়ি করে জিএসটি চালুর ব্যাপারটাও কি ঈশ্বরের লীলা ছিল? আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক পদক্ষেপ গোটা দেশের অর্থনীতিকেই ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আর চাপের মুখে কেন্দ্র এখন ঈশ্বরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।
অমিত মিত্র বলেন, ‘‘ভারত সরকার অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়গুলি বোঝেই না, তাদের কথাবার্তায় শিক্ষার অভাব। এ বছর জিডিপি-র সঙ্কোচন হবে অন্তত ১৫%।’’ কখনও জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে না-চাওয়া এবং বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে জোরাজুরি করাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে হুঁশিয়ার করেন কেন্দ্রকে।
প্রসঙ্গত, এই ধর্নায় ডাকা হয়নি কংগ্রেসকে। কারণ, বিরোধী দলগুলির মধ্যে অনেক দলই চায়না কংগ্রেসের সাথে মঞ্চ ভাগ করে নিতে।