শয্যা ফাঁকা অথচ রোগী ফেরানো হলে স্বাস্থ্য কমিশন কড়া ব্যবস্থা নেবে
শয্যা ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও, করোনা সংক্রামিত রোগী ফেরালে সরাসরি রাজ্যের হেল্থ রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ করা যাবে। কমিশন আইনানুযায়ী সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ একথা জানিয়ে দিল।
করোনাকালে দুটি বিষয়কে সামনে রেখে হাইকোর্টে এসেছিলেন মামলাকারী পৃথ্বীজয় দাশ। প্রথম দাবি ছিল, কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃতের প্রতি উপযুক্ত যত্ন, সম্মান বজায় রেখে সৎকার করা হোক। দ্বিতীয় প্রসঙ্গ ছিল, হাসপাতালে এমন রোগাক্রান্তের ভর্তি হওয়া নিয়ে বিড়ম্বনা ও যন্ত্রণা। কারণ, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির কোথায় এমন রোগী ভর্তির সুযোগ আছে, তা দরকারের সময় জানা যাচ্ছে না। অভিযোগ ছিল, শয্যা খালি থাকলেও রোগী ফেরত দেওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, বিনীত রুইয়া মামলায় বৃহস্পতিবারই প্রথম বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী কিশোর দত্ত তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলির ফাঁকা করোনা শয্যা ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য নিয়মিতভাবে প্রকাশ করছে।
যে কেউ তা দেখে পদক্ষেপ করতে পারেন। তিনি এও দাবি করেন, কোনও সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন রোগী ফেরানোর একটিও অভিযোগ নেই। এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ বলেছে, শয্যা ফাঁকা থাকলে এমন রোগী কোনও হাসপাতালই ফেরাতে পারে না। চিকিৎসা শাস্ত্রের এটি অন্যতম প্রাথমিক মূল্যবোধ। যার প্রয়োজন, তাকে চিকিৎসা দেওয়াই হাসপাতালের কাজ। উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রোগী ফেরানো হলে সেই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তার মৌলিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছে। যদি এমন কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ থাকে, যেখানে শয্যা থাকতেও রোগী ফেরানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে মামলাকারী বিষয়টি উপরোক্ত কমিশনে জানাতে পারবেন। কমিশন সেক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।