দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা সম্পর্কে চালককে GPS ম্যাপের মাধ্যমে আগেভাগে সতর্ক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পথ দুর্ঘটনা এড়াতে নগরোন্নয়ন, পূর্ত, পঞ্চায়েত এবং পুলিস সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগ এক গুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দিল্লি রোড সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে ‘সেফ করিডর’ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, এই রাস্তার সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলিও মেরামত করে ‘জিরো অ্যাক্সিডেন্ট জোন’ করা হবে। সেই সঙ্গে এই প্রথম দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিতকরণ, পরিকাঠামোগত সংশোধন এবং এলাকায় নজরদারি নিয়ে এই প্রথম ‘রোড প্রোটোকল’ জারি করেছে নগরোন্নয়ন দপ্তর।
দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ সম্পর্কে চালককে জিপিএস ম্যাপের মাধ্যমে আগেভাগে সতর্ক করে দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। অনেকে এখন জিপিএস ম্যাপ দেখে গাড়ি চালান। রাস্তায় কোথায় যানজট রয়েছে বা কোন পথ ধরলে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব—সেসব দেখিয়ে দেয় ওই ম্যাপ। রাজ্যের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ‘ব্ল্যাক স্পট’-এর তথ্যও ওই অংশের কাছাকাছি পৌঁছলে জানিয়ে দেবে জিপিএস।
প্রতিটি পুর এলাকা, নোটিফায়েড এরিয়া এবং ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীন এলাকার রাস্তার জন্য তা প্রযোজ্য। পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিসকে এক যোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছে এই প্রোটোকলে। পুরদপ্তরের এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে গোটা রাজ্যের রাস্তার ‘ব্ল্যাক স্পট’গুলির জন্য একটি করে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাস্তার প্রতি ৫০০ মিটার অংশের যেখানে গত তিন বছরে পাঁচটি পথ দুর্ঘটনা বা দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে, সেই অংশকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রোটোকলে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, পথ দুর্ঘটনার তীব্রতা যাচাই করে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে পয়েন্ট দেওয়া হবে। ইউনিক আইডি সহ সমস্ত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে পরিবহণ ও পুলিস প্রশাসনের কাছে।