পুরনো গৌরব ফেরাতে সংস্কার করা হবে কোচবিহারের প্রাচীন পলিটেকনিক কলেজ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোচবিহার শহরের রাজবাড়ি সংলগ্ন এনবিএসটিসির বাস টার্মিনাসের পাশে কেশব রোডের ধারে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে পলিটেকনিক চত্বর। ১৯৬৪ সালে স্থাপিত এই পলিটেকনিকের ভেতরে প্রথম থেকেই রয়েছে ছাত্রদের থাকার জন্য হস্টেল। সেখানে শতাধিক ছাত্রর থাকা-খাওয়ার জায়গা রয়েছে। এছাড়া বিশালাকার দুটি ওয়ার্কশপ, খেলার মাঠ এবং দুটো হেরিটেজ দিঘি রয়েছে এই পলিটেকনিক চত্বরে। ২০১৫ সালে আবার পলিটেকনিক চত্বরে মেয়েদের থাকার জন্য হস্টেলও তৈরি করা হয়েছে। একটা সময় পলিটেকনিকের মাঠটিতে দিনভর ছেলেদের ভিড় লেগে থাকত। সেখানে প্রতিদিন দু’বেলা করে শীতের সময় ক্রিকেট ও বর্ষার সময় ফুটবল খেলা হত।
কিন্তু সরকারি উদাসীনতায় একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে কোচবিহারের প্রাচীন পলিটেকনিক। গোটা চত্বরটি আগাছা, জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। খোলা থাকলে কিছু ছাত্রছাত্রীর আনাগোনা থাকলেও বন্ধের দিনগুলিতে দিনেরবেলায় ভেতরে তাকাতেও যেন গা ছমছম করে। বর্তমানে পলিটেকনিকে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, অটোমোবাইল ও ফার্মাসি- এই পাঁচটি বিভাগে পড়ানো হয়। খাতায়-কলমে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও রয়েছে প্রায় হাজারের মতো। কিন্তু তা সত্ত্বেও বর্তমানে গোটা পলিটেকনিক চত্বরটি সরকারি উদসীনতায় একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে।
পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ডঃ পূজন সরকার বলেন,‘আমরা ডিপার্টমেন্ট থেকে ৭ কোটি টাকা পেয়েছি। খুব শীঘ্রই সেই টাকা দিয়ে মাঠটি উঁচু করে তা সংস্কার করা হবে। এছাড়া ওয়ার্কশপ, মেয়েদের হস্টেল, ছেলেদের হস্টেল সবকিছু সংস্কার করা হবে। পলিটেকনিক চত্বরের আগাছা-জঙ্গল কেটে সব পরিষ্কার করা হবে। পেছন দিকে ভেঙে পড়া সীমানা প্রাচীর ঠিক করা হবে। পাশাপাশি চারটি হাইমাস্ট লাইট লাগানো হবে। মাস দুয়েকের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে। এছাড়া হেরিটেজ দিঘি দুটি প্রশাসন সংস্কার করবে।’