ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বাড়ছে জল্পনা

‘আমি আর বাঁচতে চাই না’, এই কথা নাকি একাধিকবার শর্বরী দত্ত নিজে জানিয়েছিলেন তাঁকে।

September 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় শর্বরী দত্তের (Sharbari Dutta) মৃতদেহ। খ্যাতনামা প্রবীণ ফ্যাশন ডিজাইনারের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কিন্তু জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। আজ ময়নাতদন্ত। এর মধ্যেই উঠে এল ফ্যাশন ডিজাইনারের বন্ধু সংযুক্তা বসুর বয়ানে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘আমি আর বাঁচতে চাই না’, এই কথা নাকি একাধিকবার শর্বরী দত্ত নিজে জানিয়েছিলেন তাঁকে।

পরিবারে ছেলে ও বউমার সঙ্গে মন কষাকষিই কি তাহলে সেই কারণ? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এই নিয়ে। যদিও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ভালই ছিল। কিছুদিন আগেই তাঁরা সবাই হইহই করে শান্তিনিকেতনে ঘুরে এসেছেন। তবে সূত্রের খবর, শর্বরীদেবীর কানের কাছে রক্তের দাগ ছিল। অন্য এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আঘাতের চিহ্নও নাকি ছিল। যদিও পুলিশ সেসব নিশ্চিত করেনি এখনও। দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ খেতেন শর্বরী দত্ত। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাথরুমে তাঁর দেহের পাশে রক্ত ছিল। তবে দেহ কতক্ষণ সেখানে পড়ে ছিল জানা যায়নি। সেইজন্যই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সম্পত্তিগত কোনও বিবাদ ছিল কিনা, সেটাও দেখা হচ্ছে। বিমার কাগজপত্রও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী অফিসাররা।

এছাড়াও জানা গিয়েছে, লকডাউনে বেশ কিছু কাজ শর্বরীদেবীর হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তা নিয়েও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। উপরন্তু সম্প্রতি শর্বরীদেবীর ভার্টিগো ধরা পড়ায় মাথাও ঘুরত তাঁর। বেশ কয়েকবার মাথা ঘুরে নাকি পড়েও গিয়েছিলেন। বন্ধু সংযুক্তা বসু জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই শর্বরীদেবী একাকীত্বে ভুগতেন। ছেলে ও বউমার সঙ্গে কিছু বিষয়ে মন কষাকষি চলছিল বলেই অনেকসময় ওষুধও ঠিকমতো খেতেন না।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শাশুড়ি শর্বরী দত্তকে ফোনে না পেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর পুত্রবধূ ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে খোঁজ নিতে যান। বাড়ির শৌচাগারে শর্বরীদেবীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারপরই কড়েয়া থানার পুলিশকে (Kolkata Police) খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের অনুমান সকালেই শর্বরীদেবীর মৃত্যু হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen