মঙ্গলবার আঁটপুরের সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো, জানেন দেবীর বিশেষত্ব?

পুজো উপলক্ষ্যে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে বহু মানুষের সমাগম হয়। এই কালী মূর্তির গায়ের রঙ সাদা।

April 26, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
আঁটপুরে মা সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার জাঙ্গিপাড়ার আঁটপুরে মা সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। পরদিন বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথিতে বাৎসরিক পুজো ও সংস্কারের পর সিদ্ধেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন প্রাচীন শিব মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হবে। পুজো উপলক্ষ্যে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে বহু মানুষের সমাগম হয়। এই কালী মূর্তির গায়ের রঙ সাদা। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা দেবীকে সিদ্ধেশ্বরী বা শ্বেতকালী বলেই ডাকেন।

শ্রীরামকৃষ্ণদেব, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রেমানন্দ মহারাজের স্মৃতিধন্য গ্ৰাম আঁটপুর। বলা হয়, আঁটপুরের সিদ্ধেশ্বরী মা ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম রাজবলহাটের রাজবল্লভী দেবী দুই বোন। বড় বোন রাজবল্লভী এবং ছোট বোন সিদ্ধেশ্বরী। দুই দেবীরই গায়ের রঙ সাদা।

গড় ভবানীপুরের রাজা সদানন্দ রাজবলহাটের রাজবল্লভী দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। গড় ভবানীপুরের রানি তারা দেবীকে মা সিদ্ধেশ্বরী স্বপ্নাদেশ দিয়ে আঁটপুরে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে নির্দেশ দেন। তাঁর রূপের কথাও দেবী জানান। পূর্ণিমার চাঁদের মতো যেন তাঁর রূপ হয়। মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠা হয়‌, টেরাকোটার মন্দির। মন্দির সংলগ্ন বিশাল জমি দেবীর নামে দান করেন রানি।

মূর্তি ছিল অষ্টধাতুর। ১৪০০ বঙ্গাব্দে প্রাচীন মন্দিরটি ভগ্নপ্রায় দশা হয়। অষ্টধাতুর মূর্তি চুরি হয়। গ্রামবাসীরাই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন, ১৪২০ সালের ৮ জ্যৈষ্ঠ দেবীর নতুন পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়। দেবী চতুর্ভুজা শ্বেতকালী। ডান হাতে অভয়, বাঁ হাতে খড়্গ ও অন্য হাতে কাটা মুণ্ড। দেবীকে আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। মাছসহ হরেক সবজি একসঙ্গে করে তৈরি হয় ভোগ। স্থানীয় ভাষায় এই ভোগকে বলা হয় ঘাঁটা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen