গোয়ার মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার? ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক
প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে ফের পদপিষ্টে প্রাণহানির ঘটনা। এবার উত্তর গোয়ায়। শিরগাঁওয়ে শ্রী লায়রাই দেবী মন্দিরে চলছিল বার্ষিক শোভাযাত্রা। পালন করা হচ্ছিল ‘অগ্নিদিব্য’। মনস্কামনা পূরণে জ্বলন্ত কাঠ-কয়লার উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তারইমধ্যে ভোররাতে ঘটে যায় বিপত্তি। পুলিসের ডিজি অলোক কুমার বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের ভিড় ছিল। মন্দিরে ঢোকার সংকীর্ণ রাস্তার এক জায়গায় রয়েছে ঢালু অংশ। শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ ওই ঢালু অংশেই ৪০ থেকে ৫০ জন আচমকা পড়ে যান। হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হয়ে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। জখম আরও অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন। রাজধানী পানাজি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শিরগাঁওয়ের মন্দিরে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে ফের পদপিষ্টে প্রাণহানির ঘটনা। এবার উত্তর গোয়ায়। শিরগাঁওয়ে শ্রী লায়রাই দেবী মন্দিরে চলছিল বার্ষিক শোভাযাত্রা। পালন করা হচ্ছিল ‘অগ্নিদিব্য’। মনস্কামনা পূরণে জ্বলন্ত কাঠ-কয়লার উপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তারইমধ্যে ভোররাতে ঘটে যায় বিপত্তি। পুলিসের ডিজি অলোক কুমার বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের ভিড় ছিল। মন্দিরে ঢোকার সংকীর্ণ রাস্তার এক জায়গায় রয়েছে ঢালু অংশ। শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ ওই ঢালু অংশেই ৪০ থেকে ৫০ জন আচমকা পড়ে যান। হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হয়ে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। জখম আরও অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন। রাজধানী পানাজি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শিরগাঁওয়ের মন্দিরে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
এদিকে পদপিষ্টের ঘটনার পর একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মন্দির চত্বরে ‘অগ্নিদিব্য’ নামে আচার–অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এটি এই মন্দিরের বহু প্রাচীন একটি রীতি। প্রতি বছরের মতো এবারও ‘অগ্নিদিব্য’–র আয়োজন করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাত যত গড়িয়েছে, ভক্তদের ভিড় তত বেড়েছে। একটা সময় সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শনিবার ভোর ৪টের সময় আচমকাই পুণ্যার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বার হতে গিয়েই আরও সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
গোয়ার মন্দিরে পুণ্যার্থীদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেসে অভিষেক লেখেন, ‘গোয়ার শ্রীদেবী লাইরাই মন্দিরের মর্মান্তিক ঘটনায় আমি যন্ত্রণাক্লিষ্ট। প্রিয়জনহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য় কামনা করছি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারশাসিত রাজ্যে হাথরাথ থেকে গোয়ার মতো একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। যা আদপে প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয়।’ তৃণমূল সাংসদ দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। সঙ্গে লেখেন, ‘লাগাতার সরকারের গাফিলতির জন্য জনতার প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না।’