মে মাসেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠাবে রাজ্য
মে মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্টেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া যাবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে চলতি মে মাসেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ে আট লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হবে। আট লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির লিনটেল বা লিনটন পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আগেই ছাড়া হচ্ছে। বাকি চার লক্ষ উপভোক্তা যাতে লিনটন পর্যন্ত বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করেন, তার জন্য পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ফলে মে মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্টেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া যাবে।
কেন্দ্রের মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পের টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের নিজের খরচে বাংলার প্রান্তিক মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক এক জনকে দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, লিনটেল পর্যন্ত কাজ এগলেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। প্রায় আট লক্ষ উপভোক্তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ করতে পেরেছেন।
বাংলার পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, মে মাসে ১২ লক্ষ উপভোক্তা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে আট লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে প্রায় ৪৮০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে নবান্নের শীর্ষকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া হবে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা দিতে শীঘ্রই অর্থদপ্তর অনুমোদন করতে চলেছে।