‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় মগ্ন গোটা দেশ, ঢাকা পড়ে যাচ্ছে BJP নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার ‘সাজা’র খবর?
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। এই অবস্থায় ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৫ জন পর্যটককে ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করেছিল জঙ্গিরা। শুধুমাত্র বেছে বেছে হিন্দু পুরুষ পর্যটকদের মারা হয়েছিল। সেই ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এই হামলায় ৭০ জন জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। এই অবস্থায় ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা। নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ শহর মালেগাঁওয়ে একটি মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ছয়জন মুসলিমের, আহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি। তদন্তে উঠে আসে বিস্ফোরণের পিছনে সক্রিয় ছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী। প্রথম থেকেই প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ছিলেন মূল সন্দেহভাজনদের একজন।
এই মামলাটি প্রথমে মহারাষ্ট্র ATS তদন্ত করে। ২০১১ সালে তদন্তের ভার যায় এনআইএর হাতে, এবং ২০১৬ সালে চার্জশিট পেশ করে তারা। বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও আরও ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের ধারা ১৬ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড-সহ সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে এনআইএ (জাতীয় তদন্ত সংস্থা)।
মুম্বইয়ের একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে প্রায় ১৪০০ পাতার বিশদ রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারক এ কে লাহোটি তা গ্রহণ করেন এবং ঘোষণা করেন – আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ৮ মে দেশজুড়ে নজর থাকবে মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালতের দিকে। কিন্তু তাঁর আগেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় মগ্ন গোটা দেশ।
অথচ ভারতীয় রাজনীতির এক বিতর্কিত অধ্যায়ের শেষ চরণে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন একটাই – সাধ্বী প্রজ্ঞা কি সাজা পাবেন? নাকি আবারও আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রক্ষা পাবেন ক্ষমতাবান এক নেত্রী?