‘অপারেশন সিঁদুর’-র অন্যতম নেত্রী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কে চেনেন?
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। বুধবার ভারতীয় সেনার এই সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়া।
সোফিয়ার ঠাকুরদা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেনার পরিবারেই তাঁর বিয়ে হয়েছে।
ভারতীয় সেনার সামরিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক্স অভিযান সহায়ক শাখা সিগন্যাল কর্পসের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক সোফিয়া। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সোফিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ। এরপর সোফিয়া সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।
২০০৬ সালে কঙ্গোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা অভিযানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সোফিয়া ২০১০ সাল থেকে শান্তিরক্ষা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত। পঞ্জাব সীমান্তে অপারেশন পরাক্রমের সময় তাঁর অবদানের জন্য তিনি জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) থেকে প্রশংসাপত্র পান। উত্তর-পূর্ব ভারতে বন্যায় ত্রাণকার্যের সময়েও তাঁর অসাধারণ কাজের জন্য তিনি সিগন্যাল অফিসার ইন চিফ (এসও-ইন-সি) থেকে একটি প্রশংসাপত্র পেয়েছিলেন। ফোর্স কম্যান্ডারের কাছ থেকে প্রশংসাও পেয়েছিলেন তিনি।
৩৫ বছরের এই অফিসার ২০১৬ সালে প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ১৮টি দেশের সামনে ভারতের সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোফিয়া। মহড়ার নাম ছিল ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’, প্রথম মহিলা হিসাবে এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেন। গোটা দেশ সোফিয়ার বীরত্বের জয়গান করছে।