পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফোন করে মার্কিন বিদেশসচিব কী বললেন?

ভারত এবং পাকিস্তান উভয়পক্ষকেই উত্তেজনা প্রশমনের রাস্তা খোঁজার জন্য অনুরোধ করছে ওয়াশিংটন। তার জন্য প্রয়োজনে আমেরিকা সহায়তা করতেও প্রস্তুত

May 10, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার সকালে তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল আমেরিকা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যে রকম তপ্ত হয়ে উঠেছে তা নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যাথা নেই বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ভোল পাল্টে ফেলল ওয়াশিংটন!

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফোন করলেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। আমেরিকার বিদেশ দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শুক্রবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে রুবিয়ো কথা বলেছেন। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়পক্ষকেই উত্তেজনা প্রশমনের রাস্তা খোঁজার জন্য অনুরোধ করছে ওয়াশিংটন। তার জন্য প্রয়োজনে আমেরিকা সহায়তা করতেও প্রস্তুত। ভবিষ্যতে এই ধরনের সংঘাত এড়াতেও আলোচনার পথে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের এই সেনাপ্রধান কট্টরপন্থী ও মৌলবাদী বলে অনেকের মত। তাঁর উচ্চাকাঙ্খার সীমা নেই। সেই কারণে ঘরোয়া রাজনীতিতেও আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা রয়েছে। এহেন পাক সামরিক প্রধানকে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন করাটা কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনা হল, পহেলগাম পরবর্তী সময়ে ভারত-পাক উত্তেজনার পরিবেশে রুবিও এই প্রথম পাক সেনাপ্রধানকে ফোন করলেন। এর আগে রুবিও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেছেন।

রুবিও এই কূটনৈতিক দৌত্য এমন এক সময়ে শুরু করেছেন, যখন পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ নামে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ পাঞ্জাবের অমৃতসরের খাসা ক্যান্ট এলাকায় একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা যায়। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিরক্ষা ইউনিট সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen