যুদ্ধের আঁচে বন্ধের মুখে ‘কাওয়া’ গ্রিন টি
পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে বন্ধের মুখে কাশ্মীরে ‘কাওয়া’ নামে প্রসিদ্ধ উত্তরের গ্রিন টি উৎপাদন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে বন্ধের মুখে কাশ্মীরে ‘কাওয়া’ নামে প্রসিদ্ধ উত্তরের গ্রিন টি উৎপাদন। টিউলিপ ভ্যালি পর্যটকশূন্য হয়ে যাওয়ায় কমেছে এই চায়ের চাহিদা। উৎপাদকদের শঙ্কা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে নষ্ট হতে পারে বিপুল পরিমাণ গ্রিন টি।
টিউলিপ ভ্যালির পর্যটন শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে উত্তরের গ্রিন টি। কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে ‘কাওয়া’-র পেয়ালায় চুমুক দেননি, এমন পর্যটকের সংখ্যা কর গুনে বলে দেওয়া যায়।
কিন্তু অনেকেই জানেন না কাওয়ার মূল উপাদান উত্তরের গ্রিন টি। এখানকার পাহাড়-সমতলের অন্তত ৩০টি চা বাগানে গ্রিন টি’র চাষ হয়ে থাকে। সেখানে বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন কেজি গ্রিন টি তৈরি হয়, যার ৮০% ক্রেতা জম্মু-কাশ্মীর। টিউলিপ ভ্যালিতে বিশেষভাবে তৈরি এই ‘কাওয়া চা’ দেশি-বিদেশি পর্যটক মহলের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।
এতদিন সাড়ে চারশো থেকে পাচশো টাকা কেজি দরে গ্রিন টি বিক্রি হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু গত ২৪ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার পর পালটে গিয়েছে পুরো ছবি।
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান সতীশ মিত্রুকা জানান, “উত্তরের গ্রিন টি বিক্রির একমাত্র বাজার কাশ্মীর। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর চারশো টাকা কেজি দরেও গ্রিন টি বিক্রি হচ্ছে না কাশ্মীরে। বাগানে পড়ে আছে প্রচুর চা। পর্যটক নেই কাশ্মীরে। চা নিয়ে কি করবে ওরা!”
ওই পরিস্থিতিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন বেশ কিছু ক্ষুদ্র চা চাষি। যারা কাশ্মীর উপত্যকায় ভালো বাজার দেখে মাত্র কয়েক বছর আগে গ্রিন টি উৎপাদন শুরু করেছেন। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর তাঁরা কোথায় ওই চা বিক্রি করবেন, সেটাই ভেবে উঠতে পাচ্ছেন না।
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “কাশ্মীর ছাড়া এই গ্রিন টি-র বাজার ভারতের অন্য কোথাও তেমন নেই। উত্তরের এই চা কাশ্মীরে ‘কাওয়া’ নামে বেশি পরিচিত। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পছন্দ বলে চাহিদাও বেশি। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পালটে গিয়েছে সব হিসেব।” কবে এই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলতে পারছেন না তিনি।