বিকাশ ভবনে চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে ‘আক্রান্ত’ স্বয়ং বিদ্যাসাগর!

সেখানে সৌন্দর্যায়নের জন্য বসানো হয়েছিল বেশ কিছু ফুলের টব। ফুল সহ সেই মাটির টব ছুড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশেই!

May 17, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বিকাশ ভবনে তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসিয়েছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনে বিকাশ ভবন চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এর মধ্যেই চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের হাতে ‘আক্রান্ত’ হলেন খোদ বিদ্যাসাগর! যে বেদির উপর মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই বেদিতে কাদা মাখিয়ে দেওয়া হয়। ওই মূর্তির চারপাশে একটি ছোট উদ্যান করা হয়েছে। সেখানে সৌন্দর্যায়নের জন্য বসানো হয়েছিল বেশ কিছু ফুলের টব। ফুল সহ সেই মাটির টব ছুড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশেই!

শুক্রবার এহেন দৃশ্য দেখে অনেকেরই লজ্জায় মাথা নত হয়ে গিয়েছে। বেদিতে বসানো উদ্বোধনের ফলকে কাদা মাটির প্রলেপ কারও নজর এড়ায়নি। সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা টব। মূর্তিটি অক্ষত থাকলেও এই আক্রমণ একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না শহরের মানুষজন। অনেকে বলছেন, দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলনও দোষের নয়। কিন্তু শিক্ষকরা তো সমাজের মেরুদণ্ড। সেই শিক্ষকরাই কীভাবে বিদ্যসাগরের বেদিতে কাদা মাখিয়ে দিতে পারলেন! এটা শুধু শুধু ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফলনও বটে।

বিকাশ ভবনের ক্যাম্পাসজুড়ে ভাঙচুরের ছবি। মূল যে গেটটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল, এদিন সকালে সেটি অস্থায়ীভাবে ঝালাই করে দেওয়া হয়েছে। মূল গেট লোহা দিয়ে ঝালাই করে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পাশের ছোট গেট দিয়ে চলছে যাতায়াত। পর্যাপ্ত আলোর জন্য বিকাশ ভবনের ছাদে বসানো হয়েছে হ্যালোজেন আলো। পুলিস কমিশনারের নেতৃত্বে যুগ্ম পুলিস কমিশনার সহ সমস্ত ডিসি, এসিপিরা উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, অতীতে বিধাননগরে পোস্টিং হওয়া তিনজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিককেও দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করেছে পুলিস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen