Operation Ghost Sim: পাক-গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অসম, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা থেকে গ্রেপ্তার সাত

পাক গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অপারেশন ‘ঘোস্ট সিম’, ইতিমধ্যেই এই অভিযানে সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) তাদের গ্রেপ্তার করেছে। দেশজুড়ে সাইবার অপরাধ চালাতে থাকা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের অংশ হিসেবে ভুতুড়ে সিম কার্ড চক্র উৎখাতের উদ্দেশে সেনাবাহিনী ও অসম পুলিশ ‘অপারেশন ঘোস্ট’ শুরু করেছিল অসম।
ইতিমধ্যেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে এক ইউটিউবার।
ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহারে ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) শেয়ার করে পাকিস্তানে বসেই এদেশে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতে সাহায্য করছিলেন। অসম পুলিশের ডিজি হরমিত সিং জানান, গজরাজ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গজরাজ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স থেকে প্রথম ইনপুট পেয়েছি, তারা বেশ কয়েকজন লোককে খুঁজে পেয়েছে যারা ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পাকিস্তানের লোকেদের কাছে ওটিপি পাঠাচ্ছিল।”
তিনি আরও জানান, “১৪ তারিখে STF-এ মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। OperationGhostSIM চালু করা হয়। সেই অভিযানের অংশ হিসাবে, দলগুলিকে রাজস্থান, হায়দ্রাবাদেও পাঠানো হয়েছিল। ১৬ তারিখ বিকেলে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ভরতপুর এবং আলওয়ার থেকে এবং একজনকে গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেবল সাইবার অপরাধের জন্যই নয়, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্যও এই সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, এই নম্বরগুলি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল।”
তদন্তে জানা গিয়েছে, অসমে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে যারা ভুয়ো, বেনামি সিমের ব্যবসার পাশাপাশি পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গেও জড়িত। ১৪ মে বিএনএস-এর ৬ (২)/১৪৭/১৪৮/৬২-এর অধীনে ১৮ নম্বর ধারার সঙ্গে রিড ইউএ(পি) আইন এবং আইটি আইনের ৬৬ নম্বর ধারায় ০২/২০২৫ নম্বরে মামলা রুজু করা হয়। অসম পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) যৌথ ভাবে ‘অপারেশন ঘোস্ট সিম’ শুরু করে। অসমের দুই জেলা, রাজস্থানের দুই জেলা এবং তেলেঙ্গানার একটি জেলার মোট সাত জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের হেপাজত থেকে ৯৪৮টি সিমকাৰ্ড, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত যন্ত্ৰ, নথি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতরা যথাক্রমে রাজস্থানের ভারতপুরের বাসিন্দা সাদ্দিক (৪৭), রাজস্থানের সাহরি আলওয়ারের আরিফ খান (২০), রাজস্থান আলওয়ারের সাজিদ (২১), রাজস্থানের আকিক (২৫) (গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার), নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজস্থান ভরতপুরের আর্শাদ খান (৩৪), তেলেঙ্গানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসমের ধুবড়ি জেলার মফিজুল ইসলাম (১৯) এবং ধুবড়ি জেলার বিলাসীপাড়ার জাকারিয়া আহমেদ (২৪)। এছাড়াঅ ধুবড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে পাক-যোগের অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আরও তথ্য জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।