কয়েক রাজ্যে আজ থেকেই খুলছে স্কুল, উঠছে সুরক্ষার প্রশ্ন
পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে আজ থেকে খুলছে স্কুল। চতুর্থ দফার আনলক পর্বে স্কুল খোলা নিয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। সেইমতো করোনা সংক্রমণের মধ্যেই সোমবার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হরিয়ানায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য খুলে যাচ্ছে স্কুল। স্কুল খুলবে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরেও। তবে স্কুল নয়, গবেষণারত এবং স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের জন্য আজ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। তবে স্কুলে হাজিরা থেকে ক্লাস করার ইচ্ছা, সবটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের উপর। থাকছে না হাজিরার কোনও বাধ্যবাধকতা। যদিও, করোনা সংক্রামিত দিল্লি, গুজরাত, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সোমবার থেকে তারা স্কুল খুলে দিচ্ছে না। বিহারও এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেবে।
আনলক পর্বে ধীরে ধীরে যখন দেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তখন নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে। রবিবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৬০৫ জন। যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ লক্ষ। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন, ১ হাজার ১৩৩ জন। তবে, এদিনও করোনাজয়ীর সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯৪ হাজার ৬১২ জন। এদিকে, রবিবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে কেরলের আরএসপি সাংসদ কে কে প্রেমচন্দ্রনের। তাঁকে দিল্লির এইএমস-এ ভর্তি করা হয়েছে। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে তিনি দিল্লিতে এসেছেন।
অন্যদিকে, বেশ কিছুদিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর রাজধানী দিল্লিতে ফের বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার জেরে বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেডের অভাব দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, গত ১০ দিনে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪ শতাংশ বেড়েছে। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন মহারাষ্ট্রের ১০৬ বছর বয়সি এক মহিলা।
অন্যদিকে করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে পিপিই কিট সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের পাহাড় জমতে শুরু করেছে। যা মোদি সরকারের কাছে নতুন করে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেগুলো নষ্ট করাই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। জনস্বাস্থ্য রাজ্যের আওতাভুক্ত জানিয়ে তিনি বলেছেন, ব্যবহৃত বায়োমেডিক্যাল সরঞ্জাম নষ্ট করার যথাযথ পরিকল্পনার অভাবের জন্যই এই অবস্থা।