মণিপুরের অচলাবস্থা কি কাটলো?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ০১:৩০: আবারও খবরের শিরোনামে মণিপুর। মঙ্গলবার সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়ক থোকচোম রাধেশ্যাম সিং। তাঁর সঙ্গে বিজেপির আটজন এবং এনপিপির একজন ও একজন নির্দল বিধায়ক ছিলেন। এদিন তিনি ৪৪ জন বিধায়ক নিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব রাখেন রাজ্যপালের কাছে।
সেখান থেকে বেরিয়ে থকচোম বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ইচ্ছেকে সম্মান দিয়ে ৪৪ জন বিধায়ক সরকার গড়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন৷ আমরা বিষয়টি রাজ্যপালকে জানিয়েছি৷ বর্তমানে রাজ্যে যে সমস্যা চলছে, তা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে, সমস্যা সামলাতে কী কী করা যেতে পারে তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা৷’’
থকচোমের কথায়, রাজ্যপাল তাঁদের আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন৷ তবে তারা সরকার গড়তে প্রস্তুত হলেও শেষ কথা বলবেন অবশ্যই দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
প্রসঙ্গত, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় এখন বিধায়ক রয়েছেন ৫৯ জন। একজন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় একটি আসন ফাঁকা রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে ৩২ জন মেইতেই, ৩ জন মণিপুরি মুসলিম এবং ৯ জন নাগা বিধায়ক সহ মোট ৪৪ জন রয়েছেন। কংগ্রেসের ৫ জন বিধায়ক রয়েছেন যারা সকলে মেইতেই। বাকি ১০ জন কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত। এদের মধ্যে ৭ জন বিজেপি বিধায়ক, ২ জন কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের এবং ১ জন নির্দল বিধায়ক।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতি সংরক্ষণ নিয়ে মণিপুরে অশান্তি শুরু হয়। মাসের পর মাস সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি এবং উপজাতি কুকিদের মধ্যে খুনোখুনি, ধর্ষণ, পাল্টা ধর্ষণ, হিংসা, অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনার পরে বিশৃঙ্খলার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৩ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। তারপর থেকেই সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। তাহলে শেষ পর্যন্ত মণিপুরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে চলেছে, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।