দেশের এই আশ্চর্য স্থানগুলি চেনেন? 

গোটা দুনিয়ার সাতটি আশ্চর্য দেখে হয়তো মুগ্ধ হয়ে যান। কিন্তু আপনার নিজের দেশেও প্রকৃতির প্যান্ডোরা বাক্সে এমন অনেক আশ্চর্য সৃষ্টি রয়েছে, যা আপনার মুগ্ধতাকে বিস্ময়তায় পরিবর্তিত করে দিতে পারে।

September 22, 2020 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

ঘরে বসে সারা বিশ্বের খোঁজ রাখেন। গোটা দুনিয়ার সাতটি আশ্চর্য দেখে হয়তো মুগ্ধ হয়ে যান। কিন্তু আপনার নিজের দেশেও প্রকৃতির প্যান্ডোরা বাক্সে এমন অনেক আশ্চর্য সৃষ্টি রয়েছে, যা আপনার মুগ্ধতাকে বিস্ময়তায় পরিবর্তিত করে দিতে পারে। যেমন –

দুধসাগর জলপ্রপাত, গোয়া

গোয়া ও কর্ণাটক সীমান্তের কাছে অবস্থিত দুধসাগর জলপ্রপাত। সবুজে ঘেরা এই দুধ সাদা জলধারা নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত হয়েছে। শোনা যায়, প্রাচীনকালে এখানে এক রাজার প্রাসাদ ছিল। প্রাসাদ সংলগ্ন সরোবরে স্নান করে রাজকুমারী সোনার পাত্রে দুধ পান করতেন। 

একদিন স্নানরতা রাজকুমারীকে আড়াল থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে এক রাজকুমার। তখন পাত্রের দুধ নিজের গায়ে ঢেলে লজ্জা নিবারণ করেছিলেন রাজকুমারী। সেই দুধের স্রোত থেকেই নাকি এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি।

উত্তরাখণ্ডের ফুলের উপত্যকা

আটের দশকে এই অঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান আখ্যা দিয়েছিল ইউনেস্কো। উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। প্রায় ৩০০ প্রজাতির ফুল ফোটে এখানে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের শুরুর সময়ের মধ্যে গেলে ভালো হয়।

হার্ট শেপড লেক, কেরল

সমুদ্রতল থেকে প্রায় ২১০০ মিটার উপরে ওয়েল্যান্ড। তার উচ্চতম শৃঙ্গ চেম্বরা পিক। সেখানে গেলেই সন্ধান মিলবে হার্ট শেপড লেকের। সবুজের মাঝে এই লেকটি যেন প্রকৃতির চিরন্তন ভালবাসার প্রতীক।

হোগেনাক্কাল জলপ্রপাত, তামিলনাড়ু

কর্ণাটক সীমান্তের কাছে অবস্থিত হোগেনাক্কাল জলপ্রপাতটিকে তামিলনাড়ুর সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত বলা হয়। প্রায় ২০ মিটার উচ্চতা থেকে কাবেরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে জলপ্রপাতটি। বর্ষাকালে যেতে পারলে শোভা নৈসর্গিক।

লিভিং রুট ব্রিজ, মেঘালয়

শিলং থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে গেলে এই প্রাকৃতিক এই সেতুর সন্ধান পাওয়া যায়। ফাইকাস ইলাস্টিকা নামে স্থানীয় এক রাবার প্রজাতির গাছ আছে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গাছের শাখাগুলি মাটির উপরে উঠে আসে। সেই শিকড়ের সাহায্যেই তৈরি হয় এই আশ্চর্য সেতু।

চৌম্বক পর্বত, লাদাখ

লেহর কাছে অবস্থিত এই পবর্তটিকে অভিকর্ষ পর্বতও বলা হয়। পর্বতের আশেপাশের ঢাল গুলির এমন বিন্যাস যে চড়াই কে উতরাই মনে হয় আর উতরাই কে চড়াই। ফলে গাড়িগুলি যখন নিচের দিকে নামতে থাকে তখন মনে হয় যেন উপরের দিকে উঠছে।

রিভার্স জলপ্রপাত, লোনাভলা

মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধাচারণ করে এই জলপ্রপাতটি। লোনাভলা বেড়াতে গেলে লোহাগড় দুর্গ থেকে দেখা যাবে রিভার্স জলপ্রপাতটি। যার জলের স্রোত নিচের বদলে উপরের দিকে বইতে দেখা যায়। সাধারণত বর্ষাকালে এটি বেশি হয়। কারণ? প্রচণ্ড বেগে বইতে থাকা হাওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen