ঝাড়গ্রামের ওরগোঁদার পাতাল ভৈরব মন্দিরকে ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য, কবে জেগে উঠবেন কালভৈরব?

June 5, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১৩:০০: ঝাড়গ্রাম শিলদা নিমতলা চকের অদূরেই ওরগোঁদা গ্ৰাম। গ্ৰামজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মাকড়া পাথরের তৈরি মন্দিরের ভগ্নাবশেষ। মন্দিরের ছাদ নেই। মূল বেদিতে রয়েছে পাতাল ভৈরবের মূর্তি। মূর্তির মুখ খোলা। ভৈরব যখন জেগে ওঠেন, তখন এই খোলামুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। মন্দির চত্বর ভিজে যায়। কেঁপে ওঠে মন্দির সংলগ্ন এলাকা। পাঁচ দশক আগে নাকি পাতাল ভৈরব শেষবার জেগে উঠেছিলেন।
ভৈরবের উপাসক পাহান জাতির দেহরীরা বিশ্বাস করেন, ভৈরব এখনও গভীর নিদ্রায় আছেন। তিনি আবার জেগে উঠবেন। কালভৈরবের চোখ-মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে সাদা ধোঁয়া। কেঁপে উঠবে মন্দির চত্বর। ভৈরবের জেগে ওঠার অপেক্ষায় পাহান জাতির দেহরীরা আজও পুজো করে চলেছেন।

চারদিকে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ। তারই মাঝে রয়েছে পাতাল ভৈরবের মন্দির। সর্বস্তরের মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মন্দিরের নীচে পাতাল ভৈরব থাকেন। দেবতা জেগে উঠলে মন্দিরে কম্পন হয়। পাঁচ দশক আগে শেষবার মূর্তির মুখ, চোখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়েছিল। মন্দির চত্বর কেঁপে উঠেছিল। পশু-পাখিরা মন্দির চত্বর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। জনশ্রুতি, ভৈরব কয়েক দশক অন্তর জেগে ওঠেন। ভক্তদের বিশ্বাস, তিনি আবার জেগে উঠবেন।

দেহরীরা সারা বছর মন্দিরে পুজো করেন। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। গ্ৰামের ভিতর মন্দিরের চূড়া, বেদি, ষাঁড়ের মূর্তি পড়ে রয়েছে। এলাকাজুড়ে বহু ভগ্ন জৈন মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। বেদির যে জায়গায় মূর্তিটি বসানো আছে, তার নীচে বড় ছিদ্র আছে। সেখান দিয়েই ধোঁয়া বের হয়। কয়েক দশক ধোঁয়া বের হয়নি। ওরগোঁদা গ্ৰাম তুলনামূলক উঁচু জায়গায় অবস্থিত। গ্ৰামের উত্তরদিকে ফুলকুসমা-রায়পুর যাওয়ার রাস্তা ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে। কাছেই তারাফেনি নদী। জায়গাটি বেলপাহাড়ীর শেষ প্রান্ত। অনেকের মতে, মাটির নীচে বায়বীয় প্রস্রবণ থাকতে পারে। আগ্নেয়গিরি থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা নিয়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen