দুয়ারে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ, রাজ্যের অভিনব উদ্যোগ

June 6, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১৫:০০: বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ, মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করে এমনই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শুরু হল সেই উদ্যোগ। ১৭ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে। ছোট্ট বাক্সে থাকবে নবনির্মিত মন্দিরের ছবি। সেই সঙ্গে থাকবে জগন্নাথদেবের প্রসাদ গজা ও পেড়া।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো প্রসাদ বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হয়। কীভাবে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বছর রথযাত্রার আগেই প্রসাদ বিতরণের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। উল্টোরথ অর্থাৎ ৪ জুলাইকে চূড়ান্ত সময়সীমা ধরে এগোচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সেরে ফেলতে রাজ্যের সমস্ত এসডিও এবং বিডিও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে জগন্নাথ মন্দিরের ছবি এবং বাক্স জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ১২ জুন থেকে তা পৌঁছতে শুরু করবে রাজ্যের সব জেলায়। বাক্সের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে থাকবে গজা ও পেড়া। এসডিও এবং বিডিও-দের ব্লক বা পুর এলাকার ভাল মিষ্টির দোকানের তালিকা তৈরি করে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খাদ্য দপ্তরের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাক্সগুলি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। যাঁরা রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নেই, তাঁদের বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। পেড়া ও গজা কী মাপের হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে নবান্ন তরফে। দুধ খোয়া ক্ষীর, চিনি, এলাচের মতো সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হলুদ রঙের পেড়া ৪.৮ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ওজনে ২০ গ্রাম হতে হবে। গজা হবে ৬০ গ্রামের, খয়েরি রঙের। লম্বায় ৩.২ সেন্টিমিটার ও চওড়ায় ৩.১ সেন্টিমিটার। তৈরি হবে ময়দা, ঘি, খোয়া ক্ষীর, চিনি, চিনির সেরাম ও জায়ফল ইত্যাদি দিয়ে। খাজা ও গজার দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা করে মোট ২০ টাকা। প্যাকেজিং এবং বিতরণের জন্য আলাদা করে টাকা ধরা হয়েছে। নির্দিষ্ট জিনিস ভরে বাক্স তৈরি করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এনআরএলএম বা এনইউএলএম।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen