ফুলটুসিকে নিয়ে চর্চায় নেটনাগরিকরা, কীভাবে SEX Racket চালাত সে?
কোনো তরুণী ‘টোপ’ গিলে যোগাযোগ করলে, তাকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হতো পর্ন দুনিয়ায়। আর রাজি না হলেই জুটত অকথ্য অত্যাচার।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: অভিজাত হোটেলের করিডর থেকে বিমানের বিজনেস ক্লাসে, এমনই বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ছবিতে ছয়লাপ শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসির সোশ্যাল মিডিয়া। তবে আর পাঁচজনের মতো Views আর Reach-এর আশায় এসব করত না সে। তার উদ্দেশ্য ছিল রঙিন জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে সদ্য তরুণীদের চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় টলিউড, ভোজপুরি বা ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ ফেলত শ্বেতা। কোনো তরুণী ‘টোপ’ গিলে যোগাযোগ করলে, তাকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হতো পর্ন দুনিয়ায়। আর রাজি না হলেই জুটত অকথ্য অত্যাচার। আর এই কৌশলেই বার ডান্সার শ্বেতা খান হয়ে উঠেছিলেন পর্ন দুনিয়ায় নারী সরবরাহকারী।
শ্বেতা খান অথবা মহসিনা বেগম কিংবা ফুলটুসি—আসলে একজনই। তার কাজ ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদ ফেলে পর্ন দুনিয়ায় মেয়ে পাচার করা। সেক্স র্যাকেটে নামতে রাজি না হওয়ায় টানা পাঁচ মাস শ্বেতার ডোমজুড়ের ফ্ল্যাটে অত্যাচার করা হয়েছে সোদপুরের এক তরুণীকে। গত শুক্রবার ভোরে সারা শরীরে অজস্র ক্ষত নিয়ে সেখান থেকে কোনওরকমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সেই তরুণী। তারপরই সামনে আসে অভিযুক্ত শ্বেতা ও তার ছেলে আরিয়ানের নারী পাচারের কথা।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বারে নাচতে নাচতে কলকাতা ও বিহারের সফ্ট পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় শ্বেতা খানের। এরপর ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিশোরী ও তরুণীদের প্রলুব্ধ করে জালে তোলার কারবার শুরু করে সে। পুলিস সূত্রে খবর, ‘ইশারা এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে একটি সংস্থা খুলে রিল, প্রোডাক্ট শ্যুটের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে টোপ দিয়ে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। প্রথমে তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে গিয়ে প্রোডাক্ট শ্যুটের নামে ভুয়ো ফটোশ্যুট, ‘বোল্ড সিন’ শ্যুট করানো হতো। এরপর ভয় দেখিয়ে সফ্ট পর্নে অভিনয় করতে বাধ্য করত তারা।

পুলিস জেনেছে, সোদপুরের নির্যাতিতার সঙ্গেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল শ্বেতা ও আরিয়ান। প্রথমে তাঁকে মানালি ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারপর ডোমজুড়ের ফ্ল্যাটে নিয়ে এসে পর্ন ফিল্মে অভিনয় করতে চাপ দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। শুধু এখানেই শেষ নয়, টেলি সিরিয়ালে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের টোপ দিয়ে শ্বেতা ও আরিয়ান কলকাতা, পাটনা, মুম্বইয়ের ডান্স বারেও মেয়ে পাচার করত বলে জানতে পেরেছে পুলিস।