বাংলায় ভোট বৈতরণী পার করতে বিশেষ প্যাকেজের টোপ দিতে চলেছে মোদী সরকার?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাকে ১১ বছর ধরে বঞ্চনা। বকেয়া প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা মেটানো হচ্ছে না বলে তৃণমূল এবং বঙ্গ সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। পালটা কেন্দ্রের বক্তব্য, দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই চাপানউতোরের মধ্যেই ভোট বৈতরণী পেরতে একঝাঁক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণা করা হবে আগামী ১০ মাসের মধ্যে। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে, টেক্সটাইল হাব, রেডিমেড গার্মেন্টস ক্লাস্টার রয়েছে প্রস্তাবের এই তালিকায়। আরও বেশি বন্দে ভারতের মাধ্যমে শুরু হবে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
১১ বছর ধরে বাজেট পেশ করেছে মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রী, রেলমন্ত্রীদের মুখ বদলে গিয়েছে। কিন্তু বঙ্গবঞ্চনার প্রবণতা বদলায়নি। এমনকী বঙ্গবিজেপির মধ্যেও হতাশা এবং প্রশ্ন এসেছে যে, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা কি আদৌ চান বাংলায় জয়ী হতে? কারণ সমস্ত রাজ্য উন্নয়নের বিপুল ভাগ পেলেও বাংলার জন্য কৃপণ কেন্দ্র। এবার সেই অপবাদের অবসান ঘটাতে এবং বাংলার মন জয়ের সম্ভবত শেষবার মরিয়া চেষ্টা করতে চান মোদি। কারণ ২০২৬ সালের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রচার হতে চলেছে বাংলাকে বঞ্চনা।
রাজনৈতিক স্বার্থে বিশেষ রাজ্যকে পাইয়ে দেওয়া অথবা প্রতিশ্রুতির বন্যার ইতিহাস দীর্ঘকাল ধরেই দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪ সাল থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিজেপি নেতৃত্বধীন সরকারকে গরিষ্ঠতার অঙ্কে পৌঁছতে সহায়তা করা বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা দফায় দফায় অঘোষিত প্যাকেজ আদায় করে নিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী লড়াই হয়েছে পাঁচ বার। প্রতিবারই প্রাপ্ত আসন সংখ্যার বিচারে মমতা জয়ী হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাংলা দখলে ব্যর্থতার কারণেই বছরের পর বছর বাংলাকে বাজেটে বঞ্চিত করা হয়? জানা যাচ্ছে, মোদীর শাসনকালে সম্ভবত শেষবার মোদি বনাম মমতার লড়াইয়ের প্রাক্কালে জয়ের শেষ চেষ্টা করতে বাংলার জন্য বিশেষ কিছু উন্নয়ন ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার। বিহার নির্বাচনের পর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সমাপ্ত হবে আগামী বছরের বাজেটে। ঘোষণা না হলেও যাকে বেঙ্গল প্যাকেজ হিসেবেই প্রচার করা হবে।