MAYDAY Call: মে ডে কল কী, যা দিয়েছিলেন আহমেদাবাদের বিমানের অভিশপ্ত পাইলট?

‘মে ডে’ কল তখনই ব্যবহার করা হয় যখন বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, আগুন লাগে, হাইড্রলিক সিস্টেম ব্যর্থ হয় বা যাত্রী ও ক্রুদের জীবন ঝুঁকি থাকে।

June 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৫৪: “Mayday, Mayday, Mayday” – এই শব্দগুলো যখন একজন পাইলট (pilot) বলেন, তখন সেটি শুধুই আতঙ্ক নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংকেত (emergency signal) যা নির্দেশ করে যে বিমানটি চরম বিপদের মধ্যে পড়েছে।

‘মে ডে’ (Mayday) কল মূলত একটি ডিস্ট্রেস সিগন্যাল (distress signal) যা রেডিওর মাধ্যমে বিমানের ককপিট (cockpit) থেকে কন্ট্রোল টাওয়ারে (control tower) পাঠানো হয়। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর চালু হয়, এবং “Mayday” শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ “m’aider”, যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন”।

একটি ‘মে ডে’ কল সাধারণত তখনই ব্যবহার করা হয় যখন বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, আগুন লাগে, হাইড্রলিক সিস্টেম (hydraulic system) ব্যর্থ হয় বা যাত্রী ও ক্রুদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এই সংকেত পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC) চরম সতর্ক হয় এবং উদ্ধার ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যায়।

আজ আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad plane crash) সময়ও এমনই এক ‘মে ডে’ কল পাঠানো হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, প্লেন ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা হয় এবং পাইলট তৎক্ষণাৎ ‘মে ডে’ কল দেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পরিস্থিতি এতটাই দ্রুত অবনতির দিকে যায় যে বিমানটি অল্প সময়ের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় পাইলট এবং ক্রু-সহ ২০০র অধিক যাত্রী মারা গিয়েছেন।

এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিমান নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মে ডে’ কলের সময়োচিত ব্যবহারে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব, কিন্তু কখনও কখনও পরিস্থিতি এত দ্রুত খারাপ হয়ে যায় যে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ও থাকেনা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন