রাজ্যের ২২৫টি দুর্বল সেতু দ্রুত মেরামতে তৎপর পূর্তদপ্তর
ভাঙাচোরা, দুর্বল সেতু ফেলে রেখে আর ঝুঁকি বাড়াতে চাইছে না রাজ্য। ব্রিজ বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সেতুগুলির দ্রুত মেরামতে তৎপর হল পূর্তদপ্তর। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে ছিলেন পূর্ত সচিব নবীন প্রকাশও। সেখানে ঠিক হয়েছে, স্বাস্থ্য খারাপ থাকা রাজ্যের ২২৫টি সেতু সংস্কারের কাজ চটজলদি শুরু করা হবে। পুজোর আগে অথবা পরেই সম্পূর্ণ হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই আর জরাজীর্ণ সেতুগুলি ফেলে রাখা যাবে না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে।
রাজ্যের প্রতিটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সম্প্রতি জমা পড়েছে সরকারের ঘরে। তাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে ২২৫টি ব্রিজের হাল খুব একটা ভালো নয়। দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন। সেতুগুলির অধিকাংশই নদী কিংবা খালের উপর রয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেতুগুলি মেরামতে টাকা অনুমোদন করেছে অর্থদপ্তর। সেই মতো টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি সেতুর সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে খবর। এছাড়া দুর্বল সেতুর তালিকায় রয়েছে আরও ১৪৪টি সেতু। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে সেগুলির মেরামতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, পূর্তদপ্তরের অধীন সরকারি ভবনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনামূলক বৈঠক শুরু করেছেন মন্ত্রী। আজ বুধবার খাদ্যদপ্তর, আইনদপ্তর, দমকল এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বরোজগার সংক্রান্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করবেন তিনি। ২৪ সেপ্টেম্বর অরূপবাবু কথা বলবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, মহিলা-শিশু বিকাশ ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে। ২৫ সেপ্টেম্বর কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্যটন, সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা এবং যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। প্রতিটি দপ্তরের পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মন্ত্রী।