পুজোয় চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস বিদ্যুৎমন্ত্রীর
সামনেই দুর্গাপুজো। তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর। গতবারের মতো এবারও বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় একই রাখা হয়েছে। এবার ৮৪১৪ মেগাওয়াট চাহিদা ধরা হয়েছে পুজোর দিনগুলিতে।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কথায়, গতবারের মতো এবার আর কয়লাখনির উপর ভরসা করতে হবে না। রাজ্যের ঝুলিতেই যথেষ্ট বিদ্যুত মজুত রয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনা এবং আমফান এই দুয়ের জন্য আমরা ১০০ শতাংশ মানুষ দিয়ে কাজ করতে পারছি না। তারপরও এ বার পুজোয় বিদ্যুতের এক মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি যাতে না হয়, তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” যদিও এ বার অনেক পুজো কমিটি ছোট ভাবে পুজো করবে বলে জানিয়েছে। তারপরও বিদ্যুৎ দফতরের অনুমান, এ বার পুজোয় ষষ্ঠীর দিন সবচেয়ে বেশি ৮৪১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তারপর টানা কয়েক মাস লকডাউন চলে। জুলাই মাস থেকে ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে জনজীবন। কিন্তু তারপরেও কোভিড প্রটোকল মেনে সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে শুরু হয় কাজ কর্ম।
লকডাউন শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে এক ধাক্কায় কমে যায় বিদ্যুতের চাহিদা। মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে WBSEDCL এবং CESC এলাকা মিলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৮,০০০ মেগাওয়াটের বেশি। লকডাউন শুরু হতেই সেই চাহিদা এক ধাক্কায় ২২ শতাংশ কমে যায়। সেপ্টেম্বরের শেষে এসে ফের আগের মতো বিদ্যুতের চাহিদা ফিরল গোটা রাজ্যে। কর্মাশিয়াল এবং রেসিডেন্সিয়াল দুটি ভাগেই চাহিদা ফিরেছে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আবার বিদ্যুতের চাহিদা রাজ্যজুড়ে করোনা পূর্ববর্তী অংকে পৌঁছেছে। এপ্রিল, মে, জুন মাসে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সবচেয়ে কম। জুলাই মাসের শুরুর দিক থেকে চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।”