ইরানের আকাশপথে মার্কিন ড্রোন, এবার পুরোদস্তুর যুদ্ধে নামতে চলেছে আমেরিকা?

সমগ্র পরিস্থিতি দেখে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী ইরানকে ধরাশায়ী করতে ইজরায়েলের সঙ্গ নিয়ে সরাসরি হামলার পথ নিলেন ট্রাম্প?

June 16, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৭: ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের অধীনস্থ ‘নিমিৎজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’ (Nimitz Carrier Strike Group) (আদতে ওই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং তার সহযোগী কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার এবং কর্ভেট শ্রেণির রণতরী) ওমান উপসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। গত শুক্রবার ইরানের কয়েকটি পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলি বিমান হামলার (যার পোশাকি নাম, ‘অপারেশন রাইজং লায়ন’) পরেই পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে দূতাবাস কর্মীদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে আমেরিকা।

ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে চলতে থাকা সংঘাতে এবার কী সরাসরি সামিল হল আমেরিকা? বিধ্বংসী মার্কিন ড্রোন MQ-9 ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে সোমবার দাবি করা হয়েছে ইরানের তরফে। ইরানের আকাশে মার্কিন ড্রোনের আনাগোনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতি দেখে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী ইরানকে ধরাশায়ী করতে ইজরায়েলের সঙ্গ নিয়ে সরাসরি হামলার পথ নিলেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী ইরানের ইলাম প্রদেশে ইরানের সেনাবাহিনী গুলি করে নামায় এই MQ-9 ড্রোন (US MQ-9 Reaper drone)। ফার্স নিউজ এজেন্সির দাবি অনুযায়ী দেহলোরান শহরের উপরে ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এর দাবি অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ডেপুটি গর্ভনর নিশ্চিত করেছেন ড্রোনটি মার্কিন সেনাবাহিনীর। সেটি ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। যার জেরেই সেটি গুলি করে নামানো হয়। তবে ড্রোনটি হামলার উদ্দেশে ইরানে ঢুকেছিল নাকি নজরদারি চালানোর জন্য এই অনুপ্রবেশ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আগেই জানিয়েছেন এই হামলার আগাম খবর ছিল তাদের কাছে। যদিও ইরানের উপর ইজরায়েলের এই হামলায় তাদের কোনও হাত নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইরান আমেরিকার উপর হামলা চালায় তাহলে ইরানকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না। এদিকে ইজরায়েলের হামলার জবাবে ইরানের পালটা হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েল। এমনকী সেখানে মার্কিন দূতাবাসের সামনে আছড়ে পড়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এই পরিস্থিতির মাঝেই ইরানের আকাশপথে মার্কিন ড্রোনকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, গোটা পরিস্থিতি নজরে রেখে ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে আমেরিকা (america)। যা বড়সড় যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen