‘Man made flood’! বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে DVC ও কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

প্রধানত বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ঘাটাল ও গড়বেতার বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

June 24, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৫৭: লাগাতার বর্ষণে বাংলার বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, কংসাবতী। প্রধানত বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ঘাটাল ও গড়বেতার বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি ও মোদী সরকারকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেও দাবি করেন তিনি। মমতার আরও অভিযোগ, বাংলায় থাকা দুই বন্দরে কোনও ড্রেজিং হয় না। সময়মতো ড্রেজিং করলে বন্যা রোখা সম্ভব।

মমতার অভিযোগ, “ডিভিসি না বলে জল ছাড়ে। সেই কারণে বন্যা হয়েছে। কথা না বলে বিহার, ঝাড়খণ্ড জল ছেড়ে দেয়। বাংলা সেই জলেই প্লাবিত হয়।” তিনি আরও বলেন, মাইথন, পাঞ্চেতের মতো বাঁধগুলি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া কারণে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে প্লাবনের জন্য ভূটানের জল ছাড়াকেও নিশানা করেন মমতা। ভূটানের জল ছাড়ায় বাংলার ক্ষতি হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, “ইন্দো-ভূটান রিভার কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি জানাম, ইন্দো-ভূটান রিভার কমিটিতে বাংলার প্রতিনিধির থাকা প্রয়োজন।
বন্যা মোকাবিলায় পুকুর কাটার সিদ্ধান্তের কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে। কেন্দ্রের সুদীর্ঘ বঞ্চনার পর ২০২৪-র লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঘোষণা করেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করবে রাজ্য সরকার। চলতি বছর বাজেটে মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য। এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ঘাটাল নিয়ে কিছুই করেনি কেন্দ্র। আগামী দু’বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen